মৃতদেহ টাকার জন্য আটকে রাখা যাবে না, কড়া নির্দেশ, সময়সীমাও বেঁধে দিল স্বাস্থ্য দফতর

প্রাইভেট হাসপাতালগুলিকে কড়া বার্তা দিল রাজ্য স্বাস্থ্য কমিশন। এখন থেকে রোগীর মৃত্যুর পর টাকা বকেয়া থাকলেও আটকে রাখা যাবে না দেহ। এই নির্দেশ অমান্য করলে বাতিল হবে লাইসেন্স। এইনিয়ে পুজোর মুখে বেসরকারি হাসপাতালগুলির জন্য অ্য়াডভাইসরি জারি করল স্বাস্থ্য কমিশন।

Advertisement
মৃতদেহ টাকার জন্য আটকে রাখা যাবে না, কড়া নির্দেশ, সময়সীমাও বেঁধে দিল স্বাস্থ্য দফতরবেসরকারি হাসপাতালগুলিকে নির্দেশ রাজ্যের

 প্রাইভেট হাসপাতালগুলিকে  কড়া বার্তা দিল রাজ্য স্বাস্থ্য কমিশন।  এখন থেকে রোগীর মৃত্যুর পর টাকা বকেয়া থাকলেও আটকে রাখা যাবে না দেহ।  এই নির্দেশ অমান্য করলে বাতিল হবে লাইসেন্স। এইনিয়ে পুজোর মুখে বেসরকারি হাসপাতালগুলির জন্য অ্য়াডভাইসরি জারি করল স্বাস্থ্য কমিশন। 

সোমবার এই  নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। যেখানে  বলা হয়েছে, ‘রোগীর পরিবার টাকা বকেয়া রেখেছে অথবা অন‌্য কোনও কারণকে হাতিয়ার করে বেসরকারি হাসপাতাল এবং নার্সিংহোমগুলি কোনওভাবেই দেহ আটকে রাখতে পারবে না। যদি রোগীর পরিবারের কোনওরকম বকেয়া থাকে তবে তা জানাতে হবে কমিশনকে। বকেয়া টাকা মৃতের পরিবারের কাছ থেকে উদ্ধার করার দায়িত্ব নেবে কমিশনই। কিন্তু দেহে আটকে রেখে পরিবারকে হয়রানির মুখে ফেলা যাবে না।’  এই অ্যাডভাইসরি অমান্য করলে হাসপাতালের লাইসেন্সও বাতিল হতে পারে। 

 ক্লিনিক্যাল এস্টাবলিশমেন্ট আইন অনুযায়ী,  সর্বোচ্চ মৃত্যুর ৫ ঘণ্টার মধ্যেই দেহ ছেড়ে দিতে হবে। কমিশন অভিযোগ পেয়েছে, টাকা পুরোপুরি না মেটানোয় কিছু রোগীর মৃতদেহ আটকে রাখা হয়েছে। অথবা যতক্ষণ না বকেয়া মেটানো হচ্ছে, দেহ ছাড়তে দেরি করা হবে বলা হচ্ছে। এছাড়া স্বাস্থ্যবিমা থাকা রোগীদের ক্লেমের অনুমোদন না-পাওয়া পর্যন্তও দেহ না-ছাড়া বা ছাড়তে দেরি করার অভিযোগও এসেছে।  প্রসঙ্গত, ক্লিনিক্যাল এস্টাবলিশমেন্ট লাইসেন্স দেওয়ার সময় সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ করা থাকে, এসব অনিয়ম করা যাবে না। অথচ কিছু প্রাইভেট হাসপাতাল এসব পরোয়াই করছে না। 

উল্লেখ্য, গত ১২ অগাস্ট একবালপুরের এক বেসরকারি হাসপাতালে রোগীর মৃত্যুর পর দেহ আটকে রাখার অভিযোগ উঠেছিল। মৃতের পরিবারের তরফে অভিযোগ, রোগীমৃত্যুর ১৫ ঘণ্টা পর দেহ ছেড়েছিলেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ওই হাসপাতালের চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ করেননি রোগীর আত্মীয়েরা। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের গাফিলতির অভিযোগ তুলেছিলেন তাঁরা। এই ঘটনার অভিযোগ নিয়ে নড়েচড়ে বসে কমিশন। অভিযোগ খতিয়ে দেখার পরই দেহ ছাড়ার বিষয়ে নির্দেশিকা জারি করা হল।


 

Advertisement

POST A COMMENT
Advertisement