বৃষ্টির অ্যালার্টপূর্বাভাস ছিলই। বুধবার, নবমীর দুপুর থেকে শুরু হল ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি। কলকাতা ও সংলগ্ন জেলাগুলিতে বিকেল পর্যন্ত চলেছে বারিধারা। সকাল থেকে আকাশও ছিল মেঘলা। আগামী কয়েকদিন ভারী বৃষ্টির আভাস দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। সেই আভাস মিলে গেলে দশমী তো বটেই, ত্রয়োদশী পর্যন্ত ভিজতে পারে একাধিক জেলা।
আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, বঙ্গোপসাগরে শক্তি বাড়িয়ে নিম্নচাপ নবমীর বিকেলে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। তা পরিণত হতে চলেছে অতি গভীর নিম্নচাপে। প্রবেশ করবে দক্ষিণ ওড়িশার স্থলভাগে। শুক্রবার একাদশীর ভোর রাতে স্থলভাগে প্রবেশ করতে পারে গোপালপুর থেকে পারাদ্বীপের মাঝামাঝি এলাকায়। তার জেরে বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকছে এ রাজ্যে। দশমী ও একাদশী ভাসতে পারে কলকাতা এবং আশেপাশের জেলাগুলি। মৎস্যজীবীদের জন্য ৪ অক্টোবর শনিবার পর্যন্ত সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।
দশমীর আবহাওয়া: বৃহস্পতিবার, দশমীতে কলকাতায় ভারী বৃষ্টির সতর্কতা। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় ঝড় ও বৃষ্টির সম্ভাবনা বেশি দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর ও পশ্চিম মেদিনীপুরে। এই তিন জেলায় অতি ভারী বৃষ্টির কমলা সতর্কতা। কলকাতা ও হাওড়া জেলায় ভারী বৃষ্টির কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে। উত্তর ২৪ পরগনা, হুগলি, পূর্ব বর্ধমান, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া এবং পুরুলিয়া জেলাতেও ভারী বৃষ্টির আশঙ্কা। সেই সঙ্গে ৫০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুরের মতো উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে।
একাদশীর আবহাওয়া: শুক্রবার, একাদশীতে অতি ভারী বৃষ্টির কমলা সতর্কতা পুরুলিয়া ও পশ্চিম বর্ধমান। ভারী বৃষ্টির আশঙ্কা দক্ষিণ ২৪ পরগনা, বাঁকুড়া, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পূর্ব বর্ধমান, বীরভূম ও মুর্শিদাবাদে। পূর্ব-পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনায় বইতে পারে ৫০ কিলোমিটার গতিবেগে ঝোড়ো হাওয়া।
দ্বাদশীর আবহাওয়া: শনিবার, দ্বাদশীতে ভারী বৃষ্টি বীরভূম ও মুর্শিদাবাদ জেলায়। বিক্ষিপ্তভাবে বজ্রবিদ্যুৎসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা বেশিরভাগ জেলার বেশ কিছু এলাকায়। সঙ্গে ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার গতিবেগে দমকা হাওয়া।
ত্রয়োদশীর আবহাওয়া: বৃষ্টি কমবে। তবে বিক্ষিপ্তভাবে বজ্রবিদ্যুৎসহ বৃষ্টির। আংশিক মেঘলা আকাশ। তাপমাত্রা বাড়বে। বাতাসে জলীয় বাষ্প থাকায় অস্বস্তি।
এছাড়া সোমবার এবং মঙ্গলবার বিক্ষিপ্তভাবে বজ্রবিদ্যুৎসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা বিভিন্ন এলাকায়। তবে পরিমাণে কম।