scorecardresearch
 

Bratya Basu Comment On CV Ananda Bose: 'শ্বেতহস্তির মতো দাপাচ্ছেন, আচার্য বিলে সই করুন', ব্রাত্যর নিশানায় রাজ্যপাল

Bengal Minister Bratya Basu Comment On Governor CV Ananda Bose: শুক্রবার রাজভবন লাগোয়া এলাকায় একটি বিআর আম্বেদকরের জন্মদিবস উপলক্ষে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যান ব্রাত্য। সেখানেই তিনি রাজ্য়পালকে নিয়ে এই মন্তব্য করেন। বিভিন্ন  সংবাদমাধ্যম ও সূত্রের খবর অনুযায়ী, ব্রাত্য়বাবু গত কয়েকদিনে রাজ্যপালকে ফোন করেও যোগাযোগ করতে পারেননি। তারপরই রাজ্যপালকে নিয়ে প্রকাশ্যে কড়া মন্তব্যে বার্তা দেওয়ার চেষ্টা।

Advertisement
"মুখ্যমন্ত্রীই নৈতিক আচার্য, রাজভবন না চাইলেও বিধানসভায় বিল পাশ করাব" দাবি ব্রাত্যর "মুখ্যমন্ত্রীই নৈতিক আচার্য, রাজভবন না চাইলেও বিধানসভায় বিল পাশ করাব" দাবি ব্রাত্যর
হাইলাইটস
  • "মুখ্যমন্ত্রীই নৈতিক আচার্য বলে দাবি শিক্ষামন্ত্রীর
  • রাজভবন না চাইলেও বিধানসভায় বিল পাশ করাব" দাবি ব্রাত্যর
  • শিক্ষা দফতরকে না জানিয়ে রাজ্যপাল কোনও অনুদান ঘোষণা করতে পারেন না

Bengal Minister Bratya Basu Comment On Governor CV Ananda Bose: ফের রাজ্যপাল-রাজ্য় সরকার সংঘাত প্রকাশ্যে। এবার আরও একবার রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু রাজভবনকে উপেক্ষার বার্তা দিলেন। শিক্ষামন্ত্রী পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন যে, রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে তিনি রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য বলে মানেন না। আইনত যতই তিনি এই পদে আসুন না কেন? গত কয়েকদিনে পদাধিকার বলে বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য হিসাবে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিদর্শনে যান রাজ্যপাল। যা ভালচোখে দেখছে না রাজ্য তা ব্রাত্যর মন্তব্যে পরিষ্কার। এদিন ব্রাত্য জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁর কাছে রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির নৈতিক আচার্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই। এই নিয়ে একটি সিদ্ধান্ত করে ২০২২ সালে বিধানসভায় বিলও পাশ করে নেওয়া হয়েছে। কিন্তু রাজভবন সেই বিল পাশ করেনি। ফলে তা এখনও মান্যতা পায়নি। ফলে রাজ্যপালই এখনও আচার্য রয়েছেন।

আরও পড়ুনঃ চোখ টেপ দিয়ে আটকানো, পরণে মহিলা অন্তর্বাস, যুবকের ঝুলন্ত দেহ ঘিরে চাঞ্চল্য হলদিবাড়িতে

শুক্রবার রাজভবন লাগোয়া এলাকায় একটি বিআর আম্বেদকরের জন্মদিবস উপলক্ষে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যান ব্রাত্য। সেখানেই তিনি রাজ্য়পালকে নিয়ে এই মন্তব্য করেন। বিভিন্ন  সংবাদমাধ্যম ও সূত্রের খবর অনুযায়ী, ব্রাত্য়বাবু গত কয়েকদিনে রাজ্যপালকে ফোন করেও যোগাযোগ করতে পারেননি। শিক্ষামন্ত্রীর ফোন ধরেননি রাজ্যপাল বলে জানা গিয়েছে। শুক্রবার তাই প্রকাশ্যেই রাজ্যপালকে নিয়ে কড়া মন্তব্য করেছেন তিনি। পাশাপাশি এও মনে করিয়ে দিয়েছেন, রাজ্যপালকে সরিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে আচার্য হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার আইন রাজভবনে পাশ না হলে ফের বিধানসভায় তা আবার  ওই বিল পাশ করাতে পারেন।

বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য হিসাবে রাজ্যপালের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ব্রাত্য। গত সোমবার থেকেই রাজ্যপাল তথা আচার্য হিসেবে সিভি আনন্দ বোস বিশ্ববিদ্যালয়গুলি পরিদর্শন করেন। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়, বারাসত বিশ্ববিদ্যালয় হয়ে বৃহস্পতিবার প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়েও যান তিনি। কথা বলেন সেখানকার অধ্যাপক এবং ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে। বিভিন্ন অনুদানও ঘোষণা করেন তিনি। নেতাজি মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যও ঠিক করেন রাজ্যপাল। ব্রাত্যের প্রশ্ন, ‘‘যে অনুদান উনি ঘোষণা করেছেন, সেগুলি সরকারি তহবিলে টাকা।" শিক্ষা দফতরের সঙ্গে কথা না বলে এ ধরণের ঘোষণা করতে  পারেন কি না  তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।

Advertisement

যদিও রাজ্যপালকে সরিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে উদ্যোগ নেওয়া হয় প্রাক্তন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের সময়ে। ২০২২ সালের জুন মাসে যখন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে রাজ্য প্রশাসনের সংঘাত চরমে, তখনই বিধানসভায় বিল পাশ করিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তার পর সেই বিলে অনুমোদন নেওয়ার জন্য রাজভবনেও পাঠানো হয়েছিল। ধনখড়ের আমলে সেই বিল প্রত্যাশিতভাবেই অনুমোদন পায়নি। কিন্তু পরে রাজ্যের রাজ্যপাল বদল হওয়ার পরও রাজভবন থেকে বিলটি রাজ্য সরকারের কাছে এসে পৌঁছয়নি। এ প্রসঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের একটি সাম্প্রতিক পর্যবেক্ষণ উল্লেখ করে ব্রাত্য বলেন, ‘‘শীর্ষ আদালতের নির্দেশ অনুসারে কোনও বিল রাজভবনে দু’সপ্তাহের বেশি থাকতে পারে না। কিন্তু বাংলার রাজ্যপালের কাছে ওই বিল ১০ মাস ধরে পড়ে রয়েছে।’’ এ প্রসঙ্গেই রাজ্যপালের নাম না করে শিক্ষামন্ত্রী বলেছেন, ‘‘উনি হয় বিল সই করে দিন, নয়তো আমরা আবার বিধানসভায় পাশ করাব। এমনকী, ২০০৭ সালে কেন্দ্রের তৈরি পুঞ্ছি কমিশনের রিপোর্ট উল্লেখ করে রাজ্যপালকে ‘শ্বেতহস্তী’ বলেও মন্তব্য করেছেন শিক্ষামন্ত্রী।

 

Advertisement