আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর রাজ্যে এক কেন্দ্রে উপনির্বাচন ও ২ কেন্দ্রে নির্বাচন। ভোট যাতে শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়, তা নিয়ে সতর্ক নবান্ন। বরং আগে থেকেই পুলিশকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হল রাজ্য সরকারের তরফে। ভোটের আগে কোনওরকম অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে পুলিশকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে প্রয়োজনে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার কথাও।
আরও পড়ুন : মহাকাশেও বসছে পাম্পিং স্টেশন! স্যাটেলাইটের জ্বালানি ফুরোলেই...
বুধবার ভোটের প্রস্তুতি নিয়ে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বীবেদী। সেখানেই তিনি এই মর্মে পুলিশ প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছেন বলে নবান্ন সূত্রে খবর। জানা গিয়েছে, জেলা প্রশাসনের কর্তাদের মুখ্যসচিব জানিয়েছেন, কোনও রাজনৈতিক অশান্তির অভিযোগের সঙ্গে সঙ্গে পদক্ষেপ করতে হবে। জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারদের এই কথা জানিয়েও দিয়েছেন তিনি।
৪৫ মিনিটের এই ভার্চুয়াল বৈঠকে হাজির ছিলেন কলকাতা, উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, নদিয়া, মুর্শিদাবাদ ও হাওড়ার পুলিশ সুপার ও পুলিশ কমিশনাররা। সেখানে নির্বাচন পর্ব অবাধ ও শান্তিপূর্ণ রাখতে বেশ কিছু ব্যাবস্থা নিতে মুখ্য সচিব নির্দেশ দিয়েছেন বলে সূত্রের খবর।
আরও পড়ুন : প্রিয়াঙ্কার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের, জবাব তলব EC-র
মুখ্যসচিব বলেন, ভোটে দুষ্কৃতীরা যাতে অস্ত্রশস্ত্র, তাজা বোমা ব্যবহার করতে না পারে, প্রশাসনিক কর্তাদের সেদিকে নজর রাখতে হবে। প্রয়োজনে রাস্তায় নাকা চেকিংয়েরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মুখ্যসচিব জানিয়েছেন, উপ-নির্বাচনের কেন্দ্রীয় বাহিনী ইতিমধ্যেই এসে পড়েছে। রুটমার্চ শুরু করেছে। তাদের সঙ্গে নিয়ে এলাকায় যে কোনও রকম রাজনৈতিক হিংসায় দ্রুত পদক্ষেপ করতে হবে। বিশেষ করে মুর্শিদাবাদ ও দক্ষিণ কলকাতার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উপর কড়া নজর রাখতে হবে।
প্রসঙ্গত, ৩ কেন্দ্রে উপ-নির্বাচনের জন্য মোট ৬৭ কোম্পানি বাহিনি আসছে। তার মধ্যে ভবানীপুরে মোতায়েন থাকবে ১৫ কোম্পানি বাহিনী। আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রে উপ-নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। ওই দিনই মুর্শিদাবাদের সামসেরগঞ্জ ও জঙ্গিপুরে বকেয়া বিধানসভা নির্বাচন হবে।