রাজ্যের কৃষকদের জন্য সুখবর। ১১ লাখ কৃষককে ১০২ কোটি টাকা দেবে রাজ্য সরকার। ২০২৩ সালের খারিফ মরশুমের ক্ষতিপূরণ হিসেবে এই টাকা পাঠানো হবে কৃষকদের অযাকাউন্টে। এর আগে ২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে প্রায় আড়াই লাখ কৃষককে বাংলা শস্যবিমার অধীনে ২০০ কোটি টাকারও বেশি ক্ষতিপূরণ দিয়েছিল রাজ্য সরকার।
নবান্নে সূত্রে খবর, ২০২৩ সালে খারিফ শস্য যেভাবে নষ্ট হয়েছে সেদিকে খেয়াল রেখেই কৃষকদের এই টাকা দেওয়ার পদক্ষেপ গ্রহণ করছে রাজ্য। উপগ্রহ চিত্রের মাধ্যমে এই ফসলের ক্ষয়ক্ষতি যাচাই করার পরই রাজ্য সরকার মোটামুটিভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছে ১০২ কোটি টাকা কৃষকদের দেওয়া হবে। টাকা সরাসরি পৌঁছে যাবে কৃষকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে।
নবান্নে সূত্রে খবর, কবে টাকা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে যাবে সেই বিষয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। তবে সব ঠিক থাকলে হয়তো আগামী মাস অর্থাৎ ফেব্রুয়ারির প্রথম দিকেই এই টাকা পৌঁছে যাবে কৃষকদের হাতে।
এমনিতেই রাজ্যে কৃষকবন্ধু প্রকল্প চালু রয়েছে। সেই অনুযায়ী বছরের নির্দিষ্ট সময়ে টাকাও পান কৃষকরা। এর আগে কৃষকবন্ধু প্রকল্পে ডিসেম্বর মাসে সেই টাকা দিয়েছিল রাজ্য সরকার। তাতে উপকৃত হয়েছিলেন প্রায় ১ কোটি ১ লাখ কৃষক।
সেই সময় মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, ১৭১৮১ কোটি টাকা কৃষককে টাকা দেওয়া হয়েছে। এর আগে খারিপ মরসুমে ১ কোটি ১ লাখ কৃষককে সাহায্য দেওয়া হয়েছিল। যাঁদের দু একর জমি আছে তাঁরা বছরে ১০ হাজার টাকা পান। আর যাঁরা ভাগচাষি তাদের ৪ হাজার টাকা দেওয়া হয় বছরে।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও জানিয়েছিলেন, যখন তিনি কৃষকবন্ধু প্রকল্প শুরু করেন তখন ৩৯ লক্ষ কৃষক ছিলেন এই প্রকল্পে। এখন ১ কোটিরও বেশি মানুষ এই প্রকল্পের সুবিধা পাবেন। যে কৃষক মারা গেছেন, তাঁদের ২ লাখ টাকা করে বেনিফিট দেওয়া হবে।