RG Kar Case- Sanjay Roy : সঞ্জয়ের ফাঁসি চেয়ে আবেদন রাজ্য সরকারের, কী বলল হাইকোর্ট?

আরজি করের তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত সঞ্জয় রায়কে আমৃত্যু কারাবাসের সাজা শুনিয়েছে শিয়ালদা আদালত। যার বিরোধিতা করে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে রাজ্য সরকার।

Advertisement
সঞ্জয়ের ফাঁসি চেয়ে আবেদন রাজ্য সরকারের, কী বলল হাইকোর্ট? RG KAR CASE
হাইলাইটস
  • সঞ্জয় রায়কে আমৃত্যু কারাবাসের সাজা শুনিয়েছে শিয়ালদা আদালত
  • যার বিরোধিতা করে রাজ্য সরকার হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে
  • সঞ্জয়ের ফাঁসি হোক, এমনটাই চাইছে রাজ্য

আরজি করের তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত সঞ্জয় রায়কে আমৃত্যু কারাবাসের সাজা শুনিয়েছে শিয়ালদা আদালত। যার বিরোধিতা করে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে রাজ্য সরকার। সঞ্জয় রায়ের সর্বোচ্চ সাজা দাবি করেছে তারা। তবে এই মামলার গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। রাজ্যের আবেদন গ্রহণযোগ্য হবে কি না তা নির্ধারিত হবে আগামী সোমবার। বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি মহম্মদ শব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলা উঠবে। 

এদিন শুনানির শুরুতেই মামলার গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দেয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তাদের তরফে আদালতে জানানো হয়, এই মামলায় দোষীর সর্বোচ্চ সাজা করতে চেয়ে আবেদন করতে পারে সিবিআই নিজে বা নির্যাতিতার পরিবার। প্রয়োজনে দোষী সঞ্জয় রায়ও মামলা করতে পারে। কিন্তু, রাজ্য সরকার কীভাবে এই মামলা করতে পারে? তাদের বক্তব্যের স্বপক্ষে লালুপ্রসাদ যাদবের মামলার অবতারণা করে সিবিআই। জানানো হয়, লালুপ্রসাদের মামলাও গ্রহণ করেনি হাইকোর্ট। 

তবে রাজ্য সরকারের আইনজীবী এই বক্তব্যের বিরোধিতা করেন। ৩৭৭ ও ৩৭৮ নম্বর ধারা অনুসারে তারাও এই আবেদন করতে পারেন বলে বিচারককে জানান। 

দুই পক্ষের বক্তব্য শোনার পর বিচারপতি জানতে চান, রাজ্য সরকারের দায়ের করা এই মামলা সম্পর্কে নির্যাতিতার পরিবার ওয়াকিবহাল কি না। বিচারপতি আরও জানান, নির্যাতিতার পরিবারের এই মামলা নিয়ে কী অবস্থান সেটাও তিনি জানতে চান। তারপরই নির্দেশ দেন, আগামী সোমবার এই মামলার ফোর শুনানি হবে। সেদিনই ঠিক হবে আদালত রাজ্যের এই মামলা গ্রহণ করবে কি না। 

প্রসঙ্গত, সোমবার সঞ্জয় রায়ের সাজা ঘোষণা করে শিয়ালদা আদালত। তাকে আজীবন কারাবাসের দণ্ড দেওয়া হয়। ঘটনা বিরলের মধ্যে বিরলতম নয় বলেও রায়ে উল্লেখ করেন বিচারক অনির্বাণ দাস। তারপরই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাফ জানিয়ে দেন, তিনি এই রায়ে সন্তুষ্ট নন। দোষীর সর্বোচ্চ সাজার দাবিতে হাইকোর্টে যাবে রাজ্য। সেই মোতাবেক আবেদন করা হয় রাজ্যের শীর্ষ আদালতে। 
 

Advertisement

 

POST A COMMENT
Advertisement