যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ৪৫ জন বন্দিকে মুক্ত করছে সরকার, অভিনন্দন মমমতারআবারও বন্দি মুক্তির সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার। বৃহস্পতিবার সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে একথা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার ৪৫ জন বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হচ্ছে বলে তিনি জানিয়েছেন। মমতার দাবি, ২০১১ সাল থেকে এখনও পর্যন্ত ৮৪০ জন বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে রাজ্য। তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্টে লেখেন,'যাবজ্জীবন সাজা প্রাপ্ত মানুষদের মধ্যে যাঁদের ইতিমধ্যেই ১৪ বছরের বেশি বন্দিদশা সম্পূর্ণ হয়ে গেছে, তাঁদের অনেককেই আমাদের সরকার আইন মেনে মুক্তি দিয়েছে। ২০১১ সালের পর থেকে এখনও পর্যন্ত ৮৪০ জন এরকম মানুষ ছাড়া পেয়েছেন। আরও ৪৫ জনকে আইনের পথে মুক্তি দেওয়া হচ্ছে। আমি তাঁদের ও তাঁদের পরিবারের সকলকে আমার অভিনন্দন জানাই। আমি জেনেছি, বন্দিজীবনে এঁদের আচরণ ভালো ছিল। তারই স্বীকৃতি এই মুক্তি।'
একই সঙ্গে মুক্তিপ্রাপ্ত বন্দিদের ও তাঁদের পরিবারকে অভিনন্দন জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী আরও লেখেন, 'সংশোধনাগারের কাজ অপরাধীদের মানসিকতার পরিবর্তন করে তাঁদের সমাজের মূল স্রোতে ফিরিয়ে আনা। আমি আশা করব, এই মুক্তি প্রাপ্ত বন্দিরা তাঁদের নতুন ও মুক্ত জীবনে সুনাগরিক হয়ে উঠবেন। তাহলেই আমাদের এই প্রচেষ্টা সফল হবে।'
এর আগে গত জুলাই মাসে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত তিন আসামি মুক্তি পান মেদিনীপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগার বা সেন্ট্রাল জেল থেকে। তিন আসামির ব্যবহার বা আচরণে মুগ্ধ হয়ে মুক্তির সুপারিশ করেছিল মেদিনীপুর সেন্ট্রাল জেল কর্তৃপক্ষ। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষ বা ডিস্ট্রিক্ট লিগ্যাল সার্ভিস অথোরিটির সহযোগিতায় পশ্চিমবঙ্গের ‘স্টেট সেন্টেন্স রিভিউ বোর্ড’ এই তিন জন যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামির জেল-মুক্তি সুপারিশ অনুমোদন করে।