আর কয়েকটা দিন পর সেই ৯ অগাস্ট। বছর ঘুরবে আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসক ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার। নৃশংস অত্যাচারের সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তাল হয়ে উঠেছিল কলকাতা, দেশ তথা দেশের গণ্ডি ছাড়িয়ে বিশ্বের নানা প্রান্ত। নারকীয় ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায় আজীবন কারাবাসের সাজা পেলেও এখনও যেন রয়ে গিয়েছে নানা প্রশ্ন। আর এই প্রশ্নগুলোই আবার তুলছেন এই আন্দোলন-প্রতিবাদের প্রথম সারিতে থাকা সেই জুনিয়র ডাক্তাররা। দু'টি কর্মসূচির ডাক দিলেন কিঞ্জল, দেবাশিস, আসফাকুল্লারা।
ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টর্স ফোরামের পক্ষ থেকে একটি ভিডিও পোস্ট করা হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। যেখানে দেখা যাচ্ছে আন্দোলনের প্রথম সারিতে থাকা সমস্ত জুনিয়র ডাক্তারদের। কিঞ্জল নন্দ বলছেন, 'আমরা ভুলিনি কীভাবে সেই রাতে নারকীয় এই ঘটনাকে আত্মহত্যা বলে দেখানোর চেষ্টা হয়েছিল। সেইদিন সেমিনার হলে যারা উপস্থিত ছিলেন, তাদের রাজনৈতিক পরিচয় কী ছিল?' দেবাশিস হালদার বলেন, 'আমরা ভুলিনি সেদিন পুলিশি প্রহরায় কীভাবে তড়িঘড়ি দেহ সৎকার করা হয়েছিল এবং তার পরদিন যখন প্রতিবাদী জনতা এবং জুনিয়র ডাক্তাররা আরজি করের গেটের সামনে প্রতিবাদ করছিলেন তখন সন্দীপ ঘোষ বাহিনী চিৎকার করে জানায় এটা তাদের ইন্টারনাল ম্যাটার।' কারা কী লুকোতে চেয়ছিল এবং কার মদতে এই ঘটনা ঘটেছিল, এ প্রশ্নও তুলেছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। সুবিচার অধরাই বলে উল্লেখ করছেন তাঁরা।
জুনিয়র ডাক্তাররা আগামী ৮ অগাস্ট রাত ৯টার সময়ে কলেজ স্কোয়্যার থেকে মশাল মিছিলের ডাক দিয়েছেন। মিছিল যাবে শ্যামবাজার পর্যন্ত। মধ্যরাতে শ্যামবাজারেই হবে প্রতিবাদী সমাবেশ। পাশাপাশি, ৯ অগাস্ট সন্ধ্যা ৬টায় আরজি কর হাসপাতালের ক্রাই অফ দ্য আওয়ার প্রাঙ্গণেও জমায়েতের ডাক দিয়েছেন ডাক্তাররা। অনিকেত মাহাত বলেন, 'অভয়ার ন্যায়বিচারের পাশাপাশি প্রতিরোধ গড়ে তুলুন থ্রেট কালচার, ধর্ষণ সংস্কৃতির বিরুদ্ধে। সকলে ক্রাই অফ দ্য আওয়ারের সামনে জমায়েত করুন।' সাধারণ মানুষকে এই দুই কর্মসূচিতেই যোগদান করার আহ্বান জানিয়েছেন জুনিয়র ডাক্তাররা।