
বারাণসীর ধাঁচে কলকাতার বাবুঘাটে শুরু হবে গঙ্গা আরতি। স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী সেই কথা জানিয়ে ছিলেন। বাবুঘাটে গঙ্গা আরতির জন্য জায়গাও চিহ্নিত করে ফেলে কলকাতা পুরসভা। বাবুঘাটে, যেখানে দুর্গাপুজোর বিসর্জন হয়, সেই ঘাটটিকেই গঙ্গা আরতির জন্য চূড়ান্ত করা হয়। এদিকে মকর সংক্রান্তির আগে মঙ্গলবার বাবুঘাটে গঙ্গা আরতি করতে চায় বিজেপি। যা নিয়ে প্রশাসনের সঙ্গে তৈরি হয়েছে সংঘাত।
আজ বাবুঘাটে গঙ্গা আরতির জন্য পুলিশের অনুমতি চেয়েছিল বিজেপি। কিন্তু গঙ্গাসাগরের জন্য পুণ্যার্থীদের ভিড়ের কারণ দেখিয়ে কর্মসূচি পিছিয়ে দেওয়ার অনুরোধ করে কলকাতা পুলিশ। গঙ্গা আরতির অনুমতি দেয়নি কলকাতা পুলিশ। পুলিশের তরফে জানানো হয়, গঙ্গাসাগর মেলা ছাড়াও G-20 সম্মেলনের জন্য প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তাই বিজেপিকে কর্মসূচি পিছোতে বলা হয়। গঙ্গাসাগর মেলার পরে বিজেপিকে নতুন করে আবেদন করতে বলে পুলিশ। যদিও নিজেদের সিদ্ধান্তে অনড় রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব।
বিজেপি রাজ্য় সভাপতি সুকান্ত মজুমদার গতকালই হুঙ্কার দেন, অনুমতি মিলুক না মিলুক, গঙ্গা আরতি হবেই। বঙ্গ বিজেপির তরফে মঙ্গলবার বাজা কদমতলা ঘাটে গঙ্গা আরতির আয়োজন করা হয়েছে। বিজেপির তরফে ইতিমধ্যেই ঘোষণা করা হয়েছে, আজ গঙ্গা আরতি হবেই। প্রশাসনের কোনও বাধা মানা হবে না। এদিন সকাল থেকে বাবুঘাটে মঞ্চ বাধার কাজও শুরু হয় বিজেপির তরফে। পুলিশ পাল্টা মঞ্চ সরানোর কথা বলে। একে কেন্দ্র করেই সকাল থেকে রাজনীতির পারদ চড়তে থাকে। অনুমতি না থাকায়, বাবুঘাটে বিজেপির গঙ্গা আরতির মঞ্চ খোলার কাজ শুরু করে দেয় পুলিশ। বিরাট পুলিশ বাহিনী গোটা এলাকা ঘিরে ফেলে। বিজেপি নেতা সজল ঘোষের সঙ্গে এই সময়ে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে পুলিশ। শেষে বিজেপি কাউন্সিলর সজল ঘোষকে গাড়িতে তুলে লালবাজারে নিয়ে যায় পুলিশ। বিজেপির বক্তব্য এদিন প্রদীপ জ্বালিয়েও হোক এদিন গঙ্গা পুজো করা হবে।