জাতীয় শিক্ষানীতি নিয়ে বড় খবর। কেন্দ্রীয় সরকার জাতীয় শিক্ষানীতি প্রকাশ করেছে। সেই শিক্ষানীতি রাজ্যগুলিকে মেনে চলার আবেদনও জানানা হয়েছে কেন্দ্রের তরফে। তবে রাজ্য সরকার কেন্দ্রের সেই শিক্ষানীতি হুবহু মানছে না। রাজ্য সরকারের তরফে এই নিয়ে গেজেট বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। রাজ্য সরকার কী কী মানছে ও কী কী নতুন করে যোগ করেছে তার উল্লেখ রয়েছে সেই গেজেট বিজ্ঞপ্ততিতে।
সূত্রের খবর, রাজ্য সরকার যে গেজেট বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে সেখানে উল্লেখ, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা একইভাবে হবে। অর্থাৎ মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা প্রক্রিয়ায় কোনও পরিবর্তন আসছে না।
উল্লেখ্য, স্কুলের ক্ষেত্রে জাতীয় শিক্ষানীতি সেভাবে গ্রহণ করছে না রাজ্য সরকার। প্রাথমিকের যে সব শিক্ষার্থীদের বয়স ৩ থেকে ৫ বছর। তাদের অঙ্গনওয়াড়িতে বরাদ্দ করা হয়েছে। প্রাক প্রাথমিকের পড়ুয়াদের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে ১ বছর।
সূত্রের আরও খবর, রাজ্যের শিক্ষানীতিতে আরও উল্লেখ, উচ্চ প্রাথমিকে ত্রিভাষা নীতি নিয়েছে রাজ্য সরকার। মাতৃভাষা, ইংরেজি সহ আরও একটি ভাষা নিতে হবে পড়ুয়াদের।
শিক্ষকদের জন্যও নির্দিষ্ট নীতি নিয়েছে সরকার। এবার থেকে শিক্ষকদেরও ডাক্তারদের মতো ৫ বছর গ্রামে পড়াতে হবে। পাশাপাশি, শিক্ষক-শিক্ষিকাদের জন্য আসছে নয়া ‘প্রমোশন নীতি’ও।
ক্লাস এইট থেকে সেমেস্টার প্রথা চালু হওয়ার কথা গেজেটে জানানো হয়েছে। সেখানে উল্লেখ, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক একইরকম থাকলেও ক্লাস এইট থেকে সেমেস্টার শুরু হবে। আগামী তিন বছরের মধ্যেই ধাপে ধাপে এই সেমিস্টার সিস্টেম কার্যকর করার কথা শিক্ষা নীতিতে উল্লেখ রয়েছে। নয়া শিক্ষানীতি ২০৩৫ সালের মধ্যে রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থাকে উন্নততর জায়গায় নিয়ে যাবে বলে মত দফতরের আধিকারিকদের।
আবার কলেজ শিক্ষার ক্ষেত্রে চার বছরের ডিগ্রি কোর্সের বিষয়টা জাতীয় শিক্ষানীতি থেকে গ্রহণ করেছে রাজ্য সরকার। আর সেই অর্থে তেমন কিছু গ্রহণ করেনি সরকার।
উল্লেখ্য,ইতিমধ্যেই স্কুল শিক্ষা দফতরের তরফে ওয়েবসাইটে আপলোড করা হয়েছে ১৭৮ পাতার এই শিক্ষা নীতি প্রকাশ করা হয়েছে। যা আগামী ৩ বছরের মধ্যে বাস্তবায়িত করার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের।