শুভেন্দুকে মহেশতলা যাওয়ার অনুমতি দিল না পুলিশ, যুক্তি কী?

হিংসা কবলিত মহেশতলা যাওয়ার জন্য শুভেন্দু অধিকারীকে অনুমতি দিল না পুলিশ। তাদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, যেহেতু এলাকায় ১৬৩ ধারা জারি রয়েছে, তাই সেখানে কাউকে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না এখনই। তবে, ১৬ জুনের পরে শুভেন্দু অধিকারী হিংসা কবলিত এলাকায় যেতে পারেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।

Advertisement
শুভেন্দুকে মহেশতলা যাওয়ার অনুমতি দিল না পুলিশ, যুক্তি কী?শুভেন্দুকে মহেশতলা যাওয়ার অনুমতি দিল না পুলিশ, যুক্তি কী?
হাইলাইটস
  • বুধবার হিংসা চলাকালীন কয়েকজন পুলিশকর্মীও জখম হয়েছেন
  • পরে আরও বাহিনী নিয়ে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়

হিংসা কবলিত মহেশতলা যাওয়ার জন্য শুভেন্দু অধিকারীকে অনুমতি দিল না পুলিশ। তাদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, যেহেতু এলাকায় ১৬৩ ধারা জারি রয়েছে, তাই সেখানে কাউকে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না এখনই। তবে, ১৬ জুনের পরে শুভেন্দু অধিকারী হিংসা কবলিত এলাকায় যেতে পারেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। এদিকে, বুধবারের ঘটনায় বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠক করেছে ডায়মন্ডহারবার জেলা পুলিশ। হিংসার ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ২৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনটে এফআইআর করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, এফআইআর-র সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। এছাড়াও আরও তদন্ত চলছে, তাই ধৃতের সংখ্যাও বাড়তে পারে।

মহেশতলায় একটি শিব মন্দিরের সামনে দোকান নির্মাণ নিয়ে চাপা অশান্তি শুরু হয়। স্থানীয় বাসিন্দারা এই পদক্ষেপের বিরোধিতা করে একটি ছোট তুলসী মঞ্চ তৈরি করে। বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠকে পুলিশ জানিয়েছে, বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে অশান্তি শুরু হয়। মুসলিমরা তুলসী মঞ্চ তৈরির প্রতিবাদে ডেপুটেশন দিতে এসেছিলেন। পরে সেখান থেকে হিংসা ছড়িয়ে পড়ে। শিব মন্দির ও তুলসী মঞ্চে ভাঙচুরের অভিযোগ ওঠে। পুলিশ আরও জানিয়েছে যে এলাকায় ১০টি পিকেট বসানো হয়েছে।  এলাকায় ১৬৩ ধারা জারি রয়েছে। পরিস্থিতি এখন শান্তিপূর্ণ আছে। কারফিউ জারি রয়েছে রবীন্দ্রনগর থানা এলাকায়।

বুধবার হিংসা চলাকালীন কয়েকজন পুলিশকর্মীও জখম হয়েছেন। প্রথমে পরিস্থিতি সামলাতে পারেনি পুলিশ। পরে আরও বাহিনী নিয়ে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। নিজেদের ব্যর্থতা একপ্রকাশ স্বীকার করে নিয়েছেন এসপি ডায়মন্ডহারবার। পুলিশ ব্যর্থতা খতিয়ে দেখে পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানিয়েছেন তিনি। তবে, তিনি এটাও দাবি করেছেন যে পুলিশ আক্রান্ত হতেই পারে, কারণ চাকরি এরকমই। রাহুল গোস্বামী বলেন, 'পুলিশ বাড়াবাড়ি করেনি, যেটুকু প্রয়োজন সেটুকুই করা হয়েছে। আরও গ্রেফতার বাড়বে। পুলিশ সময়েই অ্যাকশন নিয়েছে। কোনও ধর্মান্ধতা বরদাস্ত করা হবে না। দল, ধর্ম, পরিচয় নির্বিশেষে কাউকে রেয়াত করা হবে না।'

Advertisement

এদিকে, বুধবার রাতেই বজবজে প্রচুর বোমা তৈরির মশলা-সহ ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে তিনটে মোটরবাইক। সকালের ঘটনার বদলা হিসেবে ব্যবহারের জন্য বোমা তৈরির উদ্দেশ্যেই এই মশলা নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। তাদের আরও দাবি, ধৃতদের মধ্যে একজনের নাম নবীনচন্দ্র রায়। পুলিশের আরও দাবি, তিনি সক্রিয় আরএসএস ও বিজেপি কর্মী। রামবমীর সময় অশান্তির ঘটনাতেও তাঁর নাম জড়িয়েছিল।

Advertisement