scorecardresearch
 

Group D Rally: গ্রুপ D চাকরিপ্রার্থীদের মিছিল অভিষেকের অফিসের সামনেই, জানিয়ে দিল হাইকোর্ট

অবিলম্বে চাকরির দিতে হবে, তা নিয়ে গ্রুপ ডির চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলন চলছে। এই নিয়ে আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর গ্রুপ-ডি বঞ্চিত চাকরি প্রার্থীরা মিছিলের কর্মসূচি নিয়েছে। আর এই মিছিলের বিরোধিতা করে করেছিল পুলিশ। যদিও তাতে কোনও লাভ হল না। গ্রুপ ডি চাকরিপ্রার্থীদের মিছিলের পথ অপরিবর্তিত রাখল কলকাতা হাইকোর্ট।

Advertisement

অবিলম্বে চাকরির দিতে হবে, তা নিয়ে গ্রুপ ডির চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলন চলছে।  এই নিয়ে আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর গ্রুপ-ডি বঞ্চিত চাকরি  প্রার্থীরা মিছিলের কর্মসূচি নিয়েছে। আর এই মিছিলের বিরোধিতা করে করেছিল পুলিশ। যদিও তাতে কোনও লাভ হল না।  গ্রুপ ডি চাকরিপ্রার্থীদের মিছিলের পথ অপরিবর্তিত রাখল কলকাতা হাইকোর্ট।

প্রসঙ্গত, গ্রুপ-ডি চাকরিপ্রার্থীদের  মিছিল যাতে ক্যামাক স্ট্রিটে না ঢোকে সেই আবেদন করা হয়েছিল  পুলিশের তরফে। রাজ্যের তরফে আইনজীবীর যুক্তি ছিল, ক্যাম্যাক স্ট্রিটের আশপাশে বেশ কিছু স্কুল আছে। শ্রী শিক্ষায়তন সহ অন্তত চারটি স্কুলে ওই রাস্তায় পড়ে। তাই মিছিল ওই রাস্তায় ঢুকলে পড়ুয়াদের সমস্যা হবে। কিন্তু মামলাকারীর আইনজীবী কৌস্তভ বাগচীর বক্তব্য ছিল, ওই রাস্তায় একজন বিশেষ মানুষের অফিস আছে। তাই এখন পুলিশ ওই রাস্তায় মিছিল ঢুকতে দিতে চাইছে না। তবে রাজ্য সরকারের আবেদন খারিজ করে কলকাতা হাইকোর্ট জানিয়ে দিয়েছে, ক্যামাক স্ট্রিটের উপর দিয়েই যাবে গ্রুপ ডি চাকরিপ্রার্থীদের মিছিল। 

উল্লেখ্য, রাজ্য ও পুলিশের দাবি নিয়ে বিরক্ত কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত রাজ্যের আইনজীবীকে প্রশ্ন করেছিলেন, তারা তাহলে মিছিল নিয়ে আগে রাজি হয়েছিলেন কেন। আগে থেকে আপত্তি করার জায়গা থাকলেও কেন করা হয়নি।  সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চের বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের এজলাসে উঠেছিল চাকরিপ্রার্থীদের মিছিলে অনুমতি বিষয়ক মামলা।  তখন কেন পুলিশ আপত্তি জানায়নি, সোমবার সেই প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত।

আরও পড়ুন

 মামলার শুনানিতে রাজ্যের তরফে জানানো হয়, -‘ ২৭ সেপ্টেম্বর বঞ্চিত শিক্ষক পদপ্রার্থীদের মিছিল যেন ক্যমাক স্ট্রিটে না ঢোকে’। বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত রাজ্যের আইনজীবীর কাছে জানতে চান, ‘তাহলে আগে রাজি হলেন কেন? তখন কেন আপত্তি করেননি?’রাজ্যের তরফে বলা হয়, -‘শ্রী শিক্ষায়তন সহ চারটে স্কুল আছে ক্যাম্যাক স্ট্রিটের ওই রাস্তায়। ফলে ওই রাস্তায় মিছিল হলে সমস্যা হবে’। রাজ্যের তরফে এও জানানো হয়, ‘সেদিন দু’তিনজন অফিসার এসেছিলেন। তাঁরা বিষয়টি বুঝতে পারেননি। না হলে সেদিনই আপত্তি জানানো হত।’ মামলাকারীদের অন্যতম আইনজীবী কৌস্তভ বাগচী রাজ্যকে খোঁচা দিয়ে আদালতে বলেন , ‘ওই রাস্তায় একজন বিশেষ মানুষের অফিস আছে। তাই এখন পুলিশ ওই রাস্তায় মিছিল ঢুকতে দিতে চাইছে না।’  বিচারপতিও বলেন, চারটির কোনও স্কুলই এই রাস্তায় পড়ছে না। তাই স্কুলের সমস্যা হবে বলে লাভ নেই। এই প্রেক্ষিতে অবশ্য বিচারপতি নতুন করে রাজ্যকে হলফনামা দিয়ে নতুন রুট সম্পর্কে জানাতে নির্দেশ দিয়েছেন। মঙ্গলবারই এই রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছিল।

Advertisement

বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের পর্যবেক্ষণ, ক্যামাক স্ট্রিটে কোনও স্কুল নেই। এটা কোনও ধর্না কর্মসূচি নয়। একটা মিছিল রাস্তা দিয়ে চলে যাবে। তাঁর মন্তব্য, ‘‘ক্যামাক স্ট্রিটে মিছিল হলে অসুবিধা কোথায়? আপনাদের আবেদন মতো কালীঘাট এলাকায় অনুমতি দেওয়া হয়নি। তার পরে নির্দেশ পুনর্বিবেচনার আর্জি গ্রহণযোগ্য বলে মনে করছে না আদালত।’’ বিচারপতি সেনগুপ্ত জানান, ওই এলাকায় চাকরিপ্রার্থীদের মিছিল থামবে না এটা বলতে পারি। কিন্তু মিছিল হবেই। তাঁর নির্দেশ, মিছিলের জন্য স্পেশাল চ্যানেল করতে হবে। স্কুল পড়ুয়ারা যাতে আটকে না পড়ে, তা নিশ্চিত করতে হবে। প্রসঙ্গত, বুধবার থিয়েটার রোড থেকে হাজরা পর্যন্ত এই মিছিল হওয়ার কথা। আগেই রাজ্যের তরফে বলা হয়েছিল যে, ব্যস্ত দিনে রাস্তায় যানজট সামলাতে মুশকিল হতে পারে এই মিছিলের জন্য। কিন্তু দু'পক্ষের সওয়াল-জবাব শুনে কলকাতা হাইকোর্ট মিছিলের অনুমতি দেয়। এই মিছিলে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ও আইনজীবী কৌস্তুভ বাগচী অংশ নেবেন বলে দাবি  গ্রুপ-ডির চাকরি প্রার্থীদের। বুধবার বেলা ১টা থেকে ক্যামাক স্ট্রিটে মিছিল শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।

Advertisement