দুপুর ১২টায় সুজন চক্রবর্তী, দিলীপ ঘোষ ও শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়োগ দুর্নীতিতে জড়িয়েছেন অভিযুক্ত প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। ঠিক ১১টা ৪২ মিনিটে নিয়োগ বিতর্কে ওই ত্রয়ীকে নিয়েই টুইট করেছিলেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। ১৮ মিনিট আগে কুলাণের টুইট নিয়েই শুরু হয়েছে জল্পনা। প্রশ্ন উঠছে, এটা কি নেহাত কাকতালীয়? বিরোধীরা বলছেন, গোটাটাই ষড়যন্ত্র।
কুণাল টুইট করেছিলেন,'শিক্ষায় নিয়োগ-বিতর্ক। দিলীপ ঘোষ, সুজন চক্রবর্তী, শুভেন্দু অধিকারী, শমীক ভট্টাচার্য ও আরও কয়েকজন চাকরির সুপারিশ করেছিলেন কি? তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে অনুরোধ করেছিলেন কি? তদন্ত হোক। কেন্দ্রীয় এজেন্সি একমুখী কাজ না করে নিরপেক্ষ কাজ করুক।' তৃণমূল মুখপাত্রের টুইটের ১৮ মিনিট পরে আদালতে ঢোকার মুখে পার্থের মুখেও শোনা গেল একই অভিযোগ।
প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী বলেন,'যে সুজন চক্রবর্তী, দিলীপবাবুরা বড়ো বড়ো কথা বলছেন, তাঁরা নিজের দিকে দেখুন। উত্তরবঙ্গে তাঁরা কী করেছেন? ২০০৯-১০-র সিএজি রিপোর্ট দেখুন। সমস্ত জায়গায় তদ্বির করেছেন। আমি তাঁদের বলেছি করতে পারব না, আমি নিয়োগকর্তা নই। এ ব্যাপারে সাহায্য তো দূরের কথা কোনও বেআইনি কাজ করতে পারব না। শুভেন্দু অধিকারীর ১১-১২ সালটা দেখুন না।'
আরও পড়ুন- নিয়োগ দুর্নীতিতে সুজন-দিলীপ-শুভেন্দুকে জড়ালেন পার্থ, যা বললেন
কুণালের টুইট ও পার্থর বয়ান মিলতেই বিরোধীরা ষড়যন্ত্রের অভিযোগ করেছেন। সময় নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা। বিজেপি নেতা সজল ঘোষ বলেন, 'এটা খুব দুর্বল চিত্রনাট্য হয়ে গেল। চিতপুরের যাত্রাপালাতেও এই চিত্রনাট্য চলবে না। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে এখনও দলের যোগ রয়েছে, এটা স্পষ্ট হয়ে গেল।' কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচী জানান, এটা গভীর ষড়যন্ত্র। বাইরে থেকে তদন্তকে প্রভাবিত করার চেষ্টা হচ্ছে।
অন্যদিকে, কুণাল বিষয়টিকে কাকতালীয়ই বলছেন। তাঁর কথায়, 'দিলীপ, সুজন ও শুভেন্দুকে হেফাজতে নিয়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা হোক। এটা তো আগেও আমি বলেছি।'