শেষ ২৪ ঘণ্টায় বাংলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১৪,২৮১। যা একেবারে রেকর্ড। এখনও পর্যন্ত বাংলার মোট করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৭,২৮,০৬১। শেষ ২৪ ঘণ্টায় বাংলায় করোনা মুক্ত হয়েছেন ৭,৫৮৪ জন। এখনও পর্যন্ত বাংলায় মোট করোনা মুক্ত হয়েছেন ৬,৫৩,৮০২ জন। শেষ ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ৫৯ জনের। এখনও পর্যন্ত বাংলায় কোভিড আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ১০,৮৮৪ জনের। সুস্থতার হার ৮৭.৩৩ শতাংশ। বাংলায় বর্তমানে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা ৮১,৩৭৫। সবথেকে বেশি করোনা আক্রান্তের সংখ্যা কলকাতায়। শেষ ২৪ ঘণ্টায় কলকাতায় করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ২,৯৭০। মৃত্যু হয়েছে ২০ জনের। তারপরেই রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা। শেষ ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছেন ২,৮২১জন। মৃত্যু হয়েছে ১২জনের। এর পরেই রয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা। করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৮২২। মৃত্যু হয়েছে ৩ জনের।
কোভিড আক্রান্ত বাড়ছে বাংলায়
অন্যদিকে, করোনা সংক্রমণ যত বাড়ছে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে অক্সিজেন সিলিন্ডারের চাহিদা। রাণাঘাট জুড়ে কার্যত অক্সিজেন সিলিন্ডারের হাহাকার রানাঘাট অক্সিজেন সিলিন্ডারের ডিস্ট্রিবিউটরের কথা অনুযায়ী এমনিতেই বিভিন্ন নার্সিংহোমে অক্সিজেন সিলিন্ডারের চাহিদা বেড়েছে। কলকাতায় অনেক লাইন দিয়ে তাদের অক্সিজেন সিলিন্ডার আনতে হচ্ছে। এই অবস্থায় গোদের ওপর বিষফোঁড়া মতো দেখা দিয়েছে সাধারণ মানুষের অক্সিজেন সিলিন্ডার নেওয়ার জন্য ব্যাকুলতা। সংক্রমণ যেভাবে বাড়ছে তাতে আগামী দিনে অক্সিজেন সিলিন্ডারের চাহিদা যে আকাশছোঁয়া হবে তা বলাই বাহুল্য বলে মনে করছেন রানাঘাট শহরের অক্সিজেন সিলিন্ডারের কারবারিরা।
আরও পড়ুন, করোনার জেরে মেলেনি ছুটি! থানাতেই গায়েহলুদ মহিলা কনস্টেবলের
অক্সিজেন, ভ্যাকসিনের ঘাটতি
করোনা ভ্যাকসিনের জোগান না থাকায় জলপাইগুড়ি জেলা হাসপাতালে শনিবার থেকে দুদিনের জন্য বন্ধ রাখা হল ভ্যাকসিনেশনের কাজ। এর ফলে ভ্যাকসিন দিতে আসা প্রচুর মানুষকে এদিন হাসপাতালে এসেও ঘুরে যেতে হয়। শনিবার সকালে জলপাইগুড়ির বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ভ্যাকসিনেশনের জন্য এসেছিলেন বহু মানুষ। যদিও তারা হাসপাতালে এসে দেখতে পান দুদিন ভ্যাকসিন দেওয়া হবে না বলে নোটিশ লাগিয়ে রাখা হয়েছে। জলপাইগুড়ি জেলা হাসপাতালের সুপার গয়ারাম নস্কর বলেন, এই মুহূর্তে প্রতিদিন অন্তত দশ হাজার ভ্যাকসিনের প্রয়োজন রয়েছে। অথচ জোগান রয়েছে চার হাজার ভ্যাকসিনের। তাও আবার তা সঠিকভাবে পাচ্ছেন না তারা। এই পরিস্থিতিতে ভ্যাকসিনেশনের জোগান না থাকায় ২৪ ও ২৫ এপ্রিল ভ্যাকসিনেশনের কাজ বন্ধ রাখা হচ্ছে। ভ্যাকসিন পাঠানো হলে সাধারণ মানুষকে ফের নিয়মিত ভ্যাকসিন দেওয়া হবে।