রেকর্ড করে শেষ ২৪ ঘণ্টায় বাংলায় করোনা আক্রান্ত দের মৃত্যু সংখ্যা ১০০ পার। শেষ ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে মৃত্যু হয়েছে ১০৭ জনের। রাজ্যে এখন মোট করোনায় মৃত্যু হয়েছে ১১,৭৪৪ জনের। শেষ ২৪ ঘণ্টায় বাংলায় করোনা আক্রান্ত হয়েছে ১৭,৬৩৯ জন। এখনও পর্যন্ত রাজ্যে মোট করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৮,৯৮,৫৩৩ জন। শেষ ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনা মুক্ত হয়েছেন ১৬,৫৪৭ জন। এখনও পর্যন্ত রাজ্যে মোট করোনা মুক্ত হয়েছেন ৭,৬৫,৮৪৩ জন। সুস্থতাার হার ৮৫ শতাংশ। দৈনিক আক্রান্তের নিরিখে ফের কলকাতাকে টপকে গিয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা। এই জেলায় একদিনে করোনা আক্রান্তদের সংখ্যা ৩,৬৫৪ জন। কলকাতায় একদিনে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৩,৯১৪ জন।
অন্যদিকে,গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত ৩ লাখ ৫৭ হাজার। মৃত্যু হয়েছে ৩৪৪৯ জনের। এই নিয়ে দেশে মোট ,করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ২ কোটিরও বেশি। ভারতে এখনও পর্যন্ত করোনায় মৃত্যু হয়েছে ২ লক্ষ ২২ হাজার ৪০৮ জনের। মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২ কোটি ০২ লক্ষ ৮২ হাজার ৮৩৩। দেশে অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা ৩৪ লক্ষ ৪৭ হাজার ১৩৩। আগামী ১৫ মে পর্যন্ত বিহারে লকডাউনের ঘোষণা সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমারের। আজ তিনি জানান, করোনার সংক্রমণ বাড়ছে সেই কারণে লকডাউন করতেই হল। এই সংক্রান্ত নির্দেশিকা দ্রুত জারি করা হব।
দেশের করোনার এই পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যবিমা করা রয়েছে যাঁদের, তাঁদেরও একাধিক ধাপ পেরিয়ে বিমার টাকা হাতে পেতে অনেক সময় লেগে যায়। এ বার এই সমস্যার সমাধানে পদক্ষেপ করল Insurance Regulatory and Development Authority of India (IRDA)।স ম্প্রতি IRDA বিমা সংস্থাগুলিকে করোনা রোগীদের স্বাস্থ্যবিমার ক্লেম এক ঘন্টার মধ্যে তা নিষ্পত্তি করে টাকা মেটানোর দির্দেশ দিয়েছে, যাতে করোনাজয়ীরা হাসপাতালের বিলের ঝামেলা মিটিয়ে দ্রুত বাড়ি ফিরে যেতে পারেন। আসলে, গত ২৮ এপ্রিল, দিল্লি হাইকোর্ট বিমা সংস্থাগুলিকে নির্দেশ দেয়, করোনা রোগীদের স্বাস্থ্যবিমার ক্লেম বা বিল ৩০ মিনিটের মধ্যে পাস করে দিতে হবে। IRDA-র এই নতুন নির্দেশ অনুযায়ী, করোনা রোগীর চিকিৎসার খরচ সংক্রান্ত যাবতীয় নথি হাসপাতাল থেকে পাওয়ার এক ঘণ্টার মধ্যেই স্বাস্থ্যবিমার নগদহীন দাবি নিষ্পত্তি করতে হবে বিমা সংস্থাগুলিকে। সুতরাং, IRDA-র এই নতুন নির্দেশ কার্যকর হওয়ার পর আগের থেকে অকেন দ্রুত হাসপাতাল থেকে বিল মিটিয়ে ছুটি পাবেন করোনাজয়ী, পাশাপাশি গুরুতর অসুস্থ করোনা আক্রান্তদের বেড পেতে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষায় থাকতে হবে না।