শীত আরও বাড়বে কি?বছর শেষে ঝড়ো ইনিংস খেলছে শীত। একবারে পাওয়ার প্লে ব্যাটিং যাকে বলে। তাই তো কলকাতা সহ সারা পশ্চিমবঙ্গেই তাপমাত্রার পারদ অনেকটাই নেমে গিয়েছে। শুক্রবারই কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১২.৯ ডিগ্রি। এটাই এই মরসুমে শহরের শীতলতম দিন। আর এই হাড় কাঁপানো ঠান্ডা আরও কিছুদিন চলবে বলেই মনে করছেন আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা।
কী জানা যাচ্ছে?
রাজ্যজুড়ে এখন শুষ্ক আবহাওয়া রয়েছে। তাই উত্তুরে হাওয়া অনায়াসে প্রবেশ করতে পারছে রাজ্যের সব জেলাতেই। যার ফলে উত্তর থেকে দক্ষিণ, সর্বত্রই কমে যাচ্ছে তাপমাত্রা। আর এমন পরিস্থিতি আরও কিছুদিন চলবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
আসলে বারবারই শীতের তাল কেটে দেয় কোনও নিম্নচাপ বা ঝঞ্ঝা। তবে বর্তমানে এমন কিছুই নেই। সেই কারণেই উত্তুরে হাওয়ার এমন দাপট চলছে বাংলায়। হাড় কাঁপানো ঠান্ডা উপভোগ করছে বঙ্গবাসী। আর আবহাওয়ার এমন পরিস্থিতি আরও কিছু দিন স্থায়ী হবে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। যার ফলে আগামী কয়েক দিন রাতের তাপমাত্রা তো কমবেই, পাশাপাশি নেমে যাবে দিনের বেলার পারদও।
আজ কেমন থাকবে আবহাওয়া?
২৭ ডিসেম্বর, উত্তরবঙ্গ এবং দক্ষিণবঙ্গে তাপমাত্রা কমে যাওযার ধারা বজায় থাকবে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। যার সহজ অর্থ হল, শনিবারও ভালই শীতের আমেজ উপভোগ করা যাবে।
যদিও রবিবার আবহাওয়ার মতিগতি সামান্য বদলাতে পারে। এই সময় শীত হয়তো কমবে না। তবে যেভাবে তাপমাত্রা কমার ধারা বজায় ছিল, সেটা নাও থাকতে পারে বলে জানিয়ে দিয়েছে হাওয়া অফিস। কিন্তু তাপমাত্রা বাড়বেও না।
গতকাল ছিল শহরের শীতলতম দিন
শুক্রবার এই মরসুমের শীতলতম দিন উপভোগ করে ফেলেছে কলকাতা। এ দিন শহরের তাপমাত্রা ছিল ১২.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর এটাই এ বছরের রেকর্ড।
আসলে ২০১৮ সালেও ২৫ ডিসেম্বর কলকাতার তাপমাত্রা নেমে গিয়েছিল ১২.৯ ডিগ্রিতে। এবার সেই রেকর্ড আবার ছুঁয়ে ফেল কল্লোলিনী।
ও দিকে রাজ্যের মধ্যে আবার সবথেকে কম তাপমাত্রার শিরোপা জুটেছে দার্জিলিংয়ের। সেখানকার তাপমাত্রা ছিল ৫.৪ ডিগ্রি। যার ফলে সেখানে ভ্রমণরত পর্যটকরা বেশ আনন্দেই রয়েছে।
এছাড়া জেলায় জেলায় পারদ নেমেছে। এই যেমন শ্রীনিকেতনের তাপমাত্রা ছিল ৮ ডিগ্রি, বর্ধমান ৮.৮ ডিগ্রি, কল্যাণী ৯ ডিগ্রি, সিউড়ি ৯ ডিগ্রি, বাঁকুড়া ৯.২ ডিগ্রি, দিধা ১১.৬ ডিগ্রি, দমদম ১২.২ ডিগ্রি, সল্টলেক ১৩.৫ ডিগ্রি।