১৬ থেকে এক লাফে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ১১৬। গত এক সপ্তাহে বাংলায় বেড়েছে কোভিড সংক্রমণ। এদিকে, মাস্ক-স্যানিটাইজার ব্যবহার করার মতো সাধারণ প্রোটোকলগুলি ভুলতে বসেছে মানুষ। সেক্ষেত্রে কতটা ভয়ঙ্কর বর্তমান পরিস্থিতি? কোন কোন উপসর্গ দেখলে অবিলম্বে ডাক্তারের পরামর্শ নেবেন? bangla.aajtak.in-এ সব প্রশ্নের উত্তর দিলেন দুই বিশিষ্ট চিকিৎসক।
কী কী সতর্কতা প্রয়োজন?
কোভিড নিয়ে নতুন করে উদ্বিগ্ন হওয়ার কারণ নেই বলে মনে করছেন চিকিৎসক ডা: শ্যামাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, 'কোভিড থাকবেই। আসবে, যাবে। এই কোভিড নিয়ে মাতামাতি করার কোনও দরকার নেই। যেটা করতে হবে তা হল, মাস্ক পরা এবং হাত ধোয়া।' আবার চিকিৎসক ডা: অরিন্দম বিশ্বাসের কথায়, 'কোভিড কোনও দিনই যায়নি। ভয়াবহতা ছিল না বলে মানুষ গাফিলতি করেছেন। তবে এই মুহূর্তে সতর্কতা অবলম্বন করা দরকার, এটাও বাস্তব। মাস্কের ব্যবহার আবার নতুন করে শুরু করতে হবে। হাত ধোয়াটা খুব দরকার। স্যানিটাইজার ব্যবহার আবশ্যই। ভারতের মতো দেশে সামাজিক বা শারীরিক দূরত্ব সম্ভব নয়। তবে এইটুকু যদি আমরা করতে পারি তাহলে কোভিড বেশি ছড়াবে না।' তাঁর সংযোজন, 'চার বছর আগের ভয়াবহতা, দুর্বিসহ দিন ফিরবে না, আশ্বস্ত করতে পারি। কিন্তু সাবধানের মার নেই।'
কী কী উপসর্গ রয়েছে এবারের কোভিডে?
ডা: অরিন্দম বিশ্বাসের কথায়, 'জ্বর, সর্দি, কাশি, গলা ব্যথাই মূল উপসর্গ। এগুলি হলে আইসোলেট হয়ে থাকা উচিত।' ডা: শ্যামাশিস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'শ্বাসকষ্ট, বুকে ব্যথা, মাথা ঘোরা, ডায়রিয়া, পেটের যন্ত্রণাই ওয়ার্নিং সাইন। এগুলি হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।' তিনি আরও বলেন, 'JN.1 ওমিক্রনেরই ভ্যারিয়েন্ট। এটি অতি সংক্রামক তবে সমস্যাদায়ক নয়। একমাত্র মারাত্মক কোমর্বিড রোগীদের ক্ষেত্রেই এটি গুরুতর হয়ে উঠচে পারে। ডায়াবেটিক, হাইপারটেশন, কিডনি জনিত অসুখে ভুগছেন যাঁরা, তাঁদের সাবধানে চলতে হবে। বাকি আর পাঁচজনের কাছে একটি সাধারণ পাসিং ভাইরাল ইনফেকশনের মতোই।'