scorecardresearch
 

মমতাদির গ্রিন সিগন্যালের অপেক্ষায় কানন, কবে তৃণমূলে ফিরছেন? Exclusive শোভন

অন্য দলে নাম লেখালেও দিদি যে বিরূপ হয়েছেন কাননের প্রতি এমনটাও নন। বরং প্রতিবার নিয়ম করে পরে ভাইফোঁটা দিয়েছেন। কথাবার্তাও বলেছেন। উপহার দিয়েছেন। কিন্তু সে তো দিদি-ভাইয়ের সম্পর্ক! সেই 'সীমাবদ্ধ'-তা কাটিয়ে ফের কি তৃণমূলে প্রত্যাবর্তন হবে শোভন চট্টোপাধ্যায়ের? বৃহস্পতিবার রাতে কুণাল ঘোষের সঙ্গে সাক্ষাতের পর এই প্রশ্নটা ঘুরপাক খাচ্ছে রাজনৈতিক মহলে। তারই মধ্যে bangla.aajtak.in-কে মনের কথা জানালেন শোভন। 

Advertisement
শোভন চট্টোপাধ্যায় শোভন চট্টোপাধ্যায়

বিজেপি-তে যোগ দিলেও মমতা বন্দোপাধ্যায়ের সঙ্গে দূরত্ব বাড়েনি কলকাতার প্রাক্তন মেয়র তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী শোভন চট্টোপাধ্যায়ের। অন্য দলে নাম লেখালেও দিদি যে বিরূপ হয়েছেন কাননের প্রতি এমনটাও নন। বরং প্রতিবার নিয়ম করে পরে ভাইফোঁটা দিয়েছেন। কথাবার্তাও বলেছেন। উপহার দিয়েছেন। কিন্তু সে তো দিদি-ভাইয়ের সম্পর্ক! সেই 'সীমাবদ্ধ'-তা কাটিয়ে ফের কি তৃণমূলে প্রত্যাবর্তন হবে শোভন চট্টোপাধ্যায়ের? বৃহস্পতিবার রাতে কুণাল ঘোষের সঙ্গে সাক্ষাতের পর এই প্রশ্নটা ঘুরপাক খাচ্ছে রাজনৈতিক মহলে। তারই মধ্যে bangla.aajtak.in-কে মনের কথা জানালেন শোভন। 

প্রশ্ন: কুণাল ঘোষের সঙ্গে কী কথা হল? 


শোভন : আমার বাড়িতে কুণাল ঘোষ চায়ের আমন্ত্রণ রক্ষা করতে এসেছিলেন। পুরোনো বন্ধু। কথা হল। রাজনীতির পুরোনো কথা উঠে এল। দুজনেই খোলামেলা কথা বললাম। 

আরও পড়ুন

প্রশ্ন : কী নিয়ে কথা বললেন? 

শোভন: স্বাভাবিকভাবেই রাজনীতি নিয়ে। বর্তমান তৃণমূলের অবস্থা। সামনের ভোট। মমতাদি যেভাবে দলটা তৈরি করেছেন, তাঁর সেই ত্যাগের কথা আমরা জানি। অভিষেকও এখন নেতৃত্ব দিচ্ছে কোনও কোনও ক্ষেত্রে। দলের রূপরেখা, রণকৌশল নিয়েও আলোচনা হয়েছে।

প্রশ্ন : তার মানে তৃণমূলে ফেরার প্রস্তাব পেয়েছেন?

 
শোভন : দেখুন কথায় কথা আসে। সব কিছুর একটা প্রেক্ষিত থাকে। কুণাল আমার বাড়িতে এসেছিলেন। স্বাভাবিকভাবেই কারণ তো ছিল। আমিও চাই, সর্বশক্তি দিয়ে দলের হয়ে লড়তে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে যেভাবে ছিলাম, সেভাবে থাকতে। তিনি আমাকে যে আর্শীবাদ করেছেন সেজন্যই তো আমি আজ এত কথা বলতে পারছি। আমি দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক কর্মী। আমার অভিজ্ঞতা, দক্ষতা যা আছে, তা পার্টির কাজে লাগুক।সেটা চাই। সে সব কথাও কুণালের সঙ্গে হয়েছে। উনি শুনেছেন। বলেছেনও। মতের আদান প্রদান হয়েছে। 

Advertisement

প্রশ্ন : কিন্ত আপনি তো বিজেপি-তে যোগ দিয়েছিলেন?

 
শোভন : সেটা ভুল ছিল। খুব বড় ভুল সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। কিন্তু সে সব আজ অতীত। দিদি আমার কাছে বরাবর খুব প্রিয় মানুষ। আজও। তিনি নিশ্চয় সব বুঝবেন। দিদিও আমাকে চেনেন। 

প্রশ্ন : মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গ্রিন সিগন্যালের অপেক্ষা তাহলে? 


শোভন : অবশ্যই। দিদি হ্যাঁ বললেই হয়ে যাবে। তিনিই তো দলের নেত্রী। তিনিই দল চালান। তাঁর গ্রিন সিগন্যাল তো লাগবেই? সবকিছুতেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শেষ কথা। তিনি আমার রাজনীতিক জীবন জানেন, বোঝেন। তিনি চাইলেই হবে। আমি ফিরতে আগ্রহী তা সাফভাবেই জানিয়েছি। 

প্রশ্ন : লোকসভার আগেই কেন আপনার তৎপরতা?  

শোভন : লোকসভার আগে বিষয়টা এমন নয়। এটা একটা প্রক্রিয়া। মমতাদির অভিজ্ঞতা ও অভিষেকের কিছু পদক্ষেপে দলটা আজ এই জায়গায় দাঁড়িয়ে। তাঁদের যে ভাবনা তা বাস্তবায়িত হবে তখনই যখন, তৃণমূল -স্তর পর্যন্ত সবটা পৌঁছবে। আমি তার শরিক হতে চাই। আর সংসদীয় গণতন্ত্রে ভোট বড় বিষয় তো বটেই। এটা অস্বীকার করার জায়গা নেই। 

প্রশ্ন: কিন্তু শোভন চট্টোপাধ্যায়ের তৃণমূলে যোগ দেওয়ার জন্য কি কুণাল ঘোষকে মধ্যস্থতাকারী হতে হবে? 

শোভন : মমতাদি আমাকে জানেন, চেনেন সব ঠিক আছে। কিন্তু উনিও তো একটা দল চালান। তার একটা গঠনতন্ত্র আছে। সেটা মেনেই এগোচ্ছি। কুণাল ঘোষ এক্ষেত্রে অনুঘটকের কাজ করছেন। তিনি দলের মুখপাত্র। সেই কারণেই তাঁর সঙ্গে আলোচনা হল।

Advertisement