'শিয়ালদা ডিভিশনের যাত্রীরা যদি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত লোকাল ট্রেনে চেপে আরামদায়ক জার্নি করতে পারে, তাহলে হাওড়ার যাত্রীরা কী দোষ করল?' 'আমরা কি বানের জলে ভেসে এসেছি?' সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ধরনেরই পোস্ট চোখে পড়ছে আখছাড়। গলদঘর্ম হয়ে হাওড়া থেকে ভিড়ে ঠাসা লোকাল ট্রেনে চেপে একরাশ বিরক্তি নিয়ে এমনটাই আলোচনা করছেন নিত্যযাত্রীরা। সকলেই অপেক্ষায় হাওড়া ডিভিশন কবে পাবে AC লোকাল ট্রেন? খোঁজ নিল bangla.aajtak.in.
গত ১০ অগাস্ট থেকে শিয়ালদা-রানাঘাট রুটে চালু হয় পূর্ব ভারতের প্রথম AC লোকাল ট্রেন। আপাতত শিয়ালদা-রানাঘাট এবং শিয়ালদা-বনগাঁ-রানাঘাট রুটে দু'টি AC রেক চালাচ্ছে রেল। খরচ কিছুটা বেশি হলেও আরামদায়ক ট্রেন জার্নিতে যথেষ্ট আগ্রহ রয়েছে নিত্যযাত্রীদের। ফলে প্রতিদিনই এই দুই রুটে ভিড় বাড়ছে যাত্রীদের। আর তাই হাওড়া ডিভিশনেও AC লোকাল চালানোর পরিকল্পনা রয়েছে রেলের।
কবে বাস্তবায়িত হবে এই পরিকল্পনা? পূর্ব রেলের জনসংযোগ আধিকারিক বলেন, 'রেকের প্রয়োজন রয়েছে। রেক না থাকায় আপাতত পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা যাচ্ছে না। পর্যাপ্ত রেক পাওয়া গেলে তবেই হাওড়ায় AC লোকাল চালু করা সম্ভব হবে। তবে আপাতত কোনও অনুমেয় সময় বলা যাচ্ছে না।'
উল্লেখ্য, এখন শিয়ালদহ ডিভিশনে রয়েছে দু’টি AC রেক। যা শনি ও রবিবার বাদে বনগাঁ লাইনে চলছে সপ্তাহে ৫ দিন। আর শিয়ালদা-রানাঘাট রুটে চলছে রবিবার বাদে সপ্তাহে ৬ দিন। রেকগুলির সার্বিক রক্ষণাবেক্ষণের জন্যই ছুটির দিনে পরিষেবা বন্ধ রাখা হচ্ছে। আরও তিনটি AC রেক এই রুটে নামানোর পরিকল্পনা রয়েছে রেলের। সেক্ষেত্রে উইকএন্ডেও AC লোকালে চড়ার সুযোগ পাবেন যাত্রীরা।
প্রসঙ্গত, মুম্বইয়ের সমস্ত লোকাল ট্রেন বাতানুকূল করার পরিকল্পনা রয়েছে রেলের। পাশাপাশি শিয়ালদায় AC লোকাল চালু হওয়ায় হাওড়ার জন্যও চাপ বাড়ছে। আর এই সমস্ত রেক তৈরি হয় চেন্নাইয়ের ইন্টিগ্রাল কোচ ফ্যাক্টরিতে। চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় চাপ বেড়েছে ফ্যাক্টরিতেও। ফলে কতদিনে হাওড়ার জন্য সেখান থেকে AC লোকালের রেক রাজ্যে এসে পৌঁছয়, সেদিকেই তাকিয়ে সকলে।
হাওড়ার জন্য় AC রেক চলে এলে প্রথমেই ব্যান্ডেল রুটে চালু হতে পারে বাতানুকূল লোকাল। এই রুটে প্রতিদিন অসংখ্য যাত্রী যাতায়াত করেন। এতে উপকৃত হবেন তারা।