মায়ের বিয়ে হয়েছে ১ মাসও হয়নি। দিলীপ ঘোষ ও রিঙ্কু মজুমদারের বিয়ের সময়ই উঠে আসে রিঙ্কুর প্রথম পক্ষের ছেলের নাম। জানা যায়, প্রথম পক্ষের ছেলের বয়স ২৫-২৬ বছরের মধ্যে। আজ অর্থাত্ মঙ্গলবার নিউটাউনে সাপুরজি আবাসনে সেই তরুণের দেহ উদ্ধার হল। জানা যাচ্ছে, গলায় ফাঁসের গভীর দাগ রয়েছে। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট না এলে, স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে না, মৃত্যুর কারণ।
সল্টলেকের আইটি সংস্থায় কর্মরত ছিলেন
সৃঞ্জয় মজুমদার, ডাক নাম প্রীতম। বয়স আনুমানিক ২৫ থেকে ২৭ বছরের মধ্যে। পেশায় ছিলেন তথ্যপ্রযুক্তি কর্মী। সল্টলেকের একটি বেসরকারি সংস্থায় চাকরি করতেন। কর্মসূত্রে বেশিরভাগ সময়েই ব্যস্ত থাকতেন, তবে সোশ্যাল মিডিয়ায় খুব একটা সক্রিয় ছিলেন না।
নিউটাউনের অভিজাত আবাসনে থাকতেন
সৃঞ্জয় থাকতেন নিউটাউনের টেকনো সিটির কাছে অবস্থিত সাপুরজি আবাসনে। পরিবার থেকে আলাদা থাকলেও, মা রিঙ্কু মজুমদারের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখতেন বলে জানা গিয়েছে। বিয়ের সময় অবশ্য জানিয়েছিলেন, বিদেশে কাজের জন্য রয়েছেন। তাই উপস্থিত থাকতে পারেননি।
দিলীপ ঘোষকে ‘বাবা’ বলেই ডাকতে চেয়েছিলেন
মা রিঙ্কু মজুমদারের দ্বিতীয় বিয়েতে সৃঞ্জয়ের প্রতিক্রিয়া ছিল অত্যন্ত ইতিবাচক। সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছিলেন, 'মায়ের জন্য আমি খুব খুশি। দিলীপ ঘোষের সঙ্গে আমাদের খুব ভালো সম্পর্ক। আমি ওঁকে বাবা বলেই ডাকব।' শুধু তাই নয়, বিয়ের পরিকল্পনায় সৃঞ্জয়ের বড় ভূমিকা ছিল বলেও দাবি করেছিলেন রিঙ্কু।
সকালে মেলে প্রীতমের নিথর দেহ
মঙ্গলবার সকালে সাপুরজি আবাসনের ঘর থেকে অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার করা হয় সৃঞ্জয়কে। সঙ্গে সঙ্গে নিয়ে যাওয়া হয় বিধাননগর সেবা হাসপাতালে। চিকিৎসকরা জানান, মৃত্যু হয়েছে তাঁর। গলায় ফাঁসের চিহ্ন থাকায় আত্মহত্যার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার আগেই নিশ্চিত কিছু বলা যাচ্ছে না।
তদন্তে নেমেছে পুলিশ
সৃঞ্জয়ের মৃত্যু ঘিরে ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে বিধাননগর কমিশনারেটের পুলিশ। জানা গিয়েছে, তাঁর ফোনটি বিশেষভাবে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। শেষ কার সঙ্গে কথা হয়েছিল, কেমন মানসিক অবস্থায় ছিলেন—এসবই জানার চেষ্টা চলছে।