Christmas এ সবাই Park Street যায় কেন? আসল কারণটা Shocking!

Why Everyone Goes to Park Street: বড়দিন মানেই পার্কস্ট্রিট কেন? কেন শহরের নানা প্রান্ত ছেড়ে মানুষ এই একটিমাত্র রাস্তায় ছুটে আসেন? উত্তর পেতে ফিরে যেতে হবে ইতিহাসে, ব্রিটিশ আমলের কলকাতায়। পার্কস্ট্রিটের পুরনো নাম ছিল পার্ক লেন। ব্রিটিশ আমলে এটি ‘সাহেব পাড়া’ হিসেবে পরিচিত ছিল।

Advertisement
Christmas এ সবাই Park Street যায় কেন? আসল কারণটা Shocking!কেন শহরের নানা প্রান্ত ছেড়ে মানুষ এই একটিমাত্র রাস্তায় ছুটে আসেন?
হাইলাইটস
  • কেন শহরের নানা প্রান্ত ছেড়ে মানুষ এই একটিমাত্র রাস্তায় ছুটে আসেন?
  • উত্তর পেতে ফিরে যেতে হবে ইতিহাসে, ব্রিটিশ আমলের কলকাতায়।
  • ইউরোপীয় অফিসার, মিশনারি ও ধনী ইংরেজ পরিবারদের বসবাস ছিল এই এলাকায়।

Why Everyone Goes to Park Street: বড়দিন মানেই পার্কস্ট্রিট কেন? কেন শহরের নানা প্রান্ত ছেড়ে মানুষ এই একটিমাত্র রাস্তায় ছুটে আসেন? উত্তর পেতে ফিরে যেতে হবে ইতিহাসে, ব্রিটিশ আমলের কলকাতায়। পার্কস্ট্রিটের পুরনো নাম ছিল পার্ক লেন। ব্রিটিশ আমলে এটি ‘সাহেব পাড়া’ হিসেবে পরিচিত ছিল। ইউরোপীয় অফিসার, মিশনারি ও ধনী ইংরেজ পরিবারদের বসবাস ছিল এই এলাকায়। সেই সূত্রেই পার্কস্ট্রিট ঘিরে চার্চ, ক্লাব, স্কুল ও সামাজিক প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠে। সেন্ট টমাস চার্চ, সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজ, ক্যালকাটা ক্লাব, সব মিলিয়ে এই এলাকাই হয়ে ওঠে কলকাতায় খ্রিস্টধর্ম ও ইউরোপীয় সংস্কৃতির অন্যতম কেন্দ্র। স্বাভাবিকভাবেই ফি বছর ক্রিসমাসে এই এলাকা সুন্দর করে সাজাতেন ব্রিটিশরা। বড়দিন উদ্‌যাপনের(Christmas 2025) সূত্রপাত সেখান থেকেই।

সময়ের সঙ্গে সেই ঐতিহ্য বদলেছে, কিন্তু মুছে যায়নি। আজকের পার্কস্ট্রিটে বড়দিন মানেই আলোর রোশনাই। সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজ থেকে শুরু করে মল্লিক বাজার পর্যন্ত গোটা রাস্তা জুড়ে ক্রিসমাস থিমে LED আলো ও সাজসজ্জা। অনেকই জানেন না, এই আলোরও একটি বড় অংশ আসে চন্দনগরের শিল্পীদের মারফত। আলোয় আলোয় সাজানো পার্কস্ট্রিট যেন কলকাতার বড়দিনের পরিচয়পত্র।
বড়দিনে পার্কস্ট্রিটের ভিড়ে 'দুষ্টু লোক' সাবধান, একাধিক কড়া ব্যবস্থা  লালবাজারের - KOLKATA POLICE SECURITY ARRANGEMENTS ON 25 DECEMBER CHRISTMAS  RPSG - Aaj Tak Bangla

আরও একটি বড় আকর্ষণ কলকাতার ক্রিসমাস ফেস্টিভ্যাল। এটি এখন ভারতের অন্যতম বড় ক্রিসমাস কার্নিভাল। বড়দিনের সপ্তাহজুড়ে পার্কস্ট্রিট কার্যত উৎসবের মঞ্চে পরিণত হয়। অ্যালেন পার্কে শোনা যায় লাইভ মিউজিক, ব্যান্ডের পারফরম্যান্স, কোয়ার গ্রুপের ক্যারল। সেই সুর রাস্তায় রাস্তায় ছড়িয়ে পড়ে, আলাদা এক vibe তৈরি হয়। অনেকেই সেটা বেশ পছন্দ করেন।

তাছাড়া খাওয়াদাওয়াও একটি বড় ব্যাপার। সেটা ছাড়া পার্কস্ট্রিটের বড়দিন অসম্পূর্ণ। ফ্লুরিস থেকে পিটার ক্যাট, পুরনো ও নতুন রেস্তোরাঁগুলো বড়দিনে বিশেষ খাবার ও কেকের আয়োজন করে। ক্রিসমাস পুডিং, প্লাম কেক, রোস্ট, সব মিলিয়ে সুস্বাদু খাবারের টানেও হাজার হাজার মানুষ আসেন। তবে হ্যাঁ, সেই খাবারের জন্য লাইনও যেমন পড়ে, তেমনই তার দামও আকাশছোঁয়া।  

Advertisement

সবচেয়ে বড় কথা, পার্কস্ট্রিটের বড়দিন আজ আর শুধু ধর্মীয় উৎসবের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। এটি বাঙালি-অবাঙালি সকলেরই মিলনক্ষেত্র। এখানে কেউ আসেন প্রার্থনায়, কেউ আসেন খাওয়াদাওয়া করতে আবার কেউ আসেন বন্ধুদের সঙ্গে উৎসবের আনন্দ ভাগ করে নিতে। তাই বড়দিনে পার্কস্ট্রিট এখন আর শুধু একটি রাস্তা নয়, কলকাতার আবেগের ডেস্টিনেশন।

POST A COMMENT
Advertisement