মেসির গায়ে পড়েই বিপাকে অরূপ, কী চলছিল সেদিন? একাধিক VIRAL VIDEO

গোটা রাজ্যজুড়ে রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রীর বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করছিলেন মেসি ফ্যানেরা। বহু সাধারণ মানুষও অরূপ বিশ্বাসের কাণ্ড দেখে রীতিমতো বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। সেই ঘটনার জল এবার গড়াল পদত্যাগ পর্যন্ত।

Advertisement
মেসির গায়ে পড়েই বিপাকে অরূপ, কী চলছিল সেদিন? একাধিক VIRAL VIDEOলিওনেল মেসি ও অরূপ বিশ্বাস
হাইলাইটস
  • রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রীর বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করছিলেন মেসি ফ্যানেরা।
  • সাধারণ মানুষও অরূপ বিশ্বাসের কাণ্ড দেখে রীতিমতো বিস্ময় প্রকাশ করেছেন।
  • চিঠি লিখে পদত্যাগের ইচ্ছা প্রকাশ করলেন রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস।

শনিবার যুবভারতীতে মেসি কাণ্ডের ঘটনায় রাজ্য রাজনীতিতে বড়সড় বদল। গোটা রাজ্যজুড়ে  রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রীর বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করছিলেন মেসি ফ্যানেরা। বহু সাধারণ মানুষও অরূপ বিশ্বাসের কাণ্ড দেখে রীতিমতো বিস্ময় প্রকাশ করেছেন।  সেই ঘটনার জল এবার গড়াল পদত্যাগ পর্যন্ত। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লিখে পদত্যাগের ইচ্ছা প্রকাশ করলেন রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। যদিও তা এখনও গৃহীত হয়নি।

কিন্তু অরূপ বিশ্বাস ঠিক কী করেছিলেন? আদৌ কি গোটা ঘটনার দায় তাঁর? সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল একাধিক ছবি-ভিডিও থেকে সেই প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যেতে পারে। 

শনিবার দর্শকদের বহু অংশের অভিযোগ ছিল তাঁরা ৫ হাজার থেকে ১২ হাজার টাকা করে টিকিট কেটে স্টেডিয়ামের ভিতরে মেসিকে পলকের জন্যও দেখতে পাননি। এক্ষেত্রে তাঁদের দাবি ছিল, মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, টলিউডের বেশ কিছু তারকা, নেতা-মন্ত্রীর আত্মীয়সহ প্রায় ১০০-১৫০ লোক মেসিকে মাঠের মধ্যেই ঘিরে রেখেছিল। সেই কারণেই দর্শকেরা মেসিকে দেখতে পাননি।

লিওনেল মেসি ও অরূপ বিশ্বাস

এরপরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতে থাকে একাধিক ছবি-ভিডিও। যেখানে মেসিকে কার্যত জড়িয়ে ছবি তুলতে দেখা গিয়েছে ক্রীড়ামন্ত্রীকে। কখনও দেখা গিয়েছে রাজ্য পুলিসের উচ্চপদস্থ আধিকারিক মেসির কাছে যেতে চাইছেন। আর তাঁকে বাধা দিচ্ছেন মেসির নিরাপত্তা রক্ষীরা। পুরো বিষয়টি নিয়ে তেতে ওঠে সোশ্যাল মিডিয়া। এরপরেই দেখা গেল ঘটনার তিন দিনের মাথাতেই পদত্যাগের ইচ্ছা প্রকাশ করলেন অরূপ বিশ্বাস।

অন্যদিকে, এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই কড়া অ্যাকশন নিয়েছে রাজ্য। ঘটনার তদন্ত করতে একটি কমিটি গঠন করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই কমিটির সুপারিশে মঙ্গলবার একের পরে এক পদস্থ পুলিশ অফিসারকে শোকজ়, সাসপেন্ড করা হয়েছে। রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার, বিধাননগর পুলিশ কমিশনার মুকেশ কুমারকে শোকজ করা হয়েছে। অন্যদিকে,  বিভাগীয় তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত বিধাননগর কমিশনারেটের ডিসিপি অনীশ সরকারকে সাসপেন্ড করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। 
POST A COMMENT
Advertisement