Wife plans to kill husband: ইনজেকশন দিয়ে স্বামীকে তিলে তিলে মারার প্ল্যান স্ত্রীর, নৈহাটিতে চাঞ্চল্যকর ঘটনা

ইঞ্জেকশন দিয়ে স্বামীকে তিলে তিলে প্রাণে মারার চেষ্টার অভিযোগ উঠল স্ত্রীর বিরুদ্ধে। যদিও সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও স্থানীয় বাসিন্দাদের চেষ্টায় সেই ষড়যন্ত্র বানচাল হয়ে যায় বলে জানা গিয়েছে। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে নৈহাটির  ৯ নম্বর ওয়ার্ডের রাজবন্দিগর এলাকায়।

Advertisement
ইনজেকশন দিয়ে স্বামীকে তিলে তিলে মারার প্ল্যান স্ত্রীর, নৈহাটিতে চাঞ্চল্যকর ঘটনানৈহাটিতে স্বামীকে খুনের চেষ্টা স্ত্রীর।-ফাইল ছবি
হাইলাইটস
  • ইঞ্জেকশন দিয়ে স্বামীকে তিলে তিলে প্রাণে মারার চেষ্টার অভিযোগ উঠল স্ত্রীর বিরুদ্ধে।
  • যদিও সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও স্থানীয় বাসিন্দাদের চেষ্টায় সেই ষড়যন্ত্র বানচাল হয়ে যায় বলে জানা গিয়েছে।

ইঞ্জেকশন দিয়ে স্বামীকে তিলে তিলে প্রাণে মারার চেষ্টার অভিযোগ উঠল স্ত্রীর বিরুদ্ধে। যদিও সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও স্থানীয় বাসিন্দাদের চেষ্টায় সেই ষড়যন্ত্র বানচাল হয়ে যায় বলে জানা গিয়েছে। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে নৈহাটির  ৯ নম্বর ওয়ার্ডের রাজবন্দিগর এলাকায়। জানা গিয়েছে ওই ওয়ার্ডের বাসিন্দা বছর ৪৪ এর দেবেশ চ্যাটার্জি তাঁর স্ত্রী রনিতা চ্যাটার্জি ও মেয়েকে নিয়ে বসবাস করতেন।

দেবেশবাবু ছিলেন ওয়ার্ডের একনিষ্ঠ তৃণমূল কর্মী। এলাকাবাসীর দাবি, বেশ কয়েক দিন ধরে তাঁকে দেখা যাচ্ছিল না। স্থানীয়রা বাড়িতে খোঁজ নিতে গেলেও তাঁর স্ত্রী কখনও জানান, দেবেশ বাবু বাড়িতে নেই অথবা কখনও জানান তাঁর স্বামীর শরীর খারাপ। ফলে তিনি এই মুহূর্তে কারও সঙ্গে দেখা করবেন না।  আর এতেই সন্দেহের রেশ বেড়ে ওঠে উক্ত ওয়ার্ডের কাউন্সিলর থেকে শুরু করে এলাকাবাসীর।

অবশেষে শুক্রবার দেবেশবাবুর বাড়িতে এলাকাবাসী গেলে সেই একই কথা বলেন তাঁর স্ত্রী রনিতা। কিন্তু স্থানীয় কাউন্সিলরকে সামনে রেখে জোরজবস্তি স্থানীয়রা ঘরের ভিতের ঢুকে পড়েন। হঠাৎ করেই দেবেশ বাবুর শরীরে একটি বড় পুড়ে যাওয়া অংশ তাঁদের নজরে আসে। বিষয়টি জানতে চাইলে দেবেশ বলেন, একদিন আগেই তাঁর অজান্তে তাঁর স্ত্রী একটি ইঞ্জেকশন দেন তাঁর পেটের মধ্যে। আর তারপর থেকেই তাঁর এই অবস্থা। শুধু তাই নয় দেবেশ বাবুর আরও অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে ঘুমের ওষুধ ও অন্যান্য ধরনের ওষুধ খাবারের সঙ্গে খাইয়ে তাঁকে মারার করার চেষ্টা করেছে স্ত্রী রনিতা। কিন্তু কোনও কিছু না হওয়ায় অবশেষে শুক্রবার একটি বড় সিরিঞ্জ-এ  কোনও ধরনের মেডিসিন ইনজেকশনে করে তাঁর পেটে দিয়ে দেয়। এবং তারপরেই দেবেশ বাবুর এই অবস্থা। 

কিন্তু ডাক্তার ছাড়াই বিনা প্রেসক্রিপশনে কে দিচ্ছেন এই জাতীয় ওষুধ? নিশ্চয়ই আছে কেউ না কেউ তার মদত দাতা। এমনটাই দাবি প্রতিবেশীদের। আর সেই প্রমাণ লোপাটের জন্য পাশের বাড়ি একটি সিসিটিভি ক্যামেরা রাতের অন্ধকারে তাদের পাঁচিলে ওঠে ভেঙে ফেলে রনিতা। কিন্তু তার এই কর্মকাণ্ড স্পষ্টভাবে উঠে যায় অন্যদিকে লাগানো আরেকটি ক্যামেরায়। বর্তমানে দেবেশ বাবু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এবং তাঁকে নিয়ে যথেষ্ট চিন্তিত পাড়ার প্রতিবেশী থেকে শুরু করে উক্ত ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রুদ্রানী বোস রায়।  এই ঘটনা নিয়ে স্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন দেবেশ চ্যাটার্জি ও তার প্রতিবেশীরা।

Advertisement

অন্যদিকে ওষুধের নাম না জেনেই ইনজেকশনটি দেওয়ার কথা অবশেষে মানতে বাধ্য হন দেবেশ বাবুর স্ত্রী রনিতা। শনিবার, ১৯ জুলাই সকালেই অভিযুক্ত রনিতা চ্যাটার্জিকে আটক করে,ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত শুরু করেছে নৈহাটি থানার পুলিশ।

রিপোর্টারঃ দীপক দেবনাথ

 

TAGS:
POST A COMMENT
Advertisement