দেশে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। একই অবস্থা বাংলারও। পরিস্থিতি মোকাবিলায় আংশিক লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। এবার কি পুরো লকডাউনের পথে হাঁটবে রাজ্য?
আজ মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। লকডাউন নিয়ে তিনি কী সিদ্ধান্ত নেন, সবাই সেই অপেক্ষার। বিশেষজ্ঞদের একাংশ পুরো লকডাউনের কথা জানিয়েছেন। তাঁদের মতে, তা হলে করোনা সংক্রমণের শৃঙ্খল ভাঙা যেতে পারে।
শপথ নেওয়ার পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, সবাই শান্তি বজায় রাখুন, শৃঙ্খলা বজায় রাখুন। আজ থেকে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সামলাব। কড়া হাতে ব্যবস্থা নেব। কড়া পদক্ষেপ নিতে পিছপা হব না। সবাইকে হয় তো আমন্ত্রণ জানাতে পারেনি। প্রোটোকল অনুসারে যাঁদের না করলেই নয়। কোভিড শেষ হয়ে গেলে সবাইকে আমন্ত্রণ করব।
একুশের ভোটে বিপুল জয় পেয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় নন্দীগ্রাম থেকে হেরে গিয়েছেন। তাঁকে হারিয়েছেন বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারী।
এইমস-এর অধিকর্তা রণদীপ গুলেরিয়া জানিয়েছেন, ভারত একটা বড়সড় দেশ। এখানে এক এক সময়ে করোনার সংক্রমণ চূড়ান্ত জায়গায় পৌঁছবে। দেশের পশ্চিম অঞ্চলে করোনার সংক্রমণের ঘটনা কিছুটা কমেছে। মহারাষ্ট্রে এখন চূড়ান্ত জায়গায় পৌঁছে গিয়েছে বলে মনে হয়।
তিনি জানান, দিল্লি এবং আশপাশের কথা যদি বলি, তা হলে সেখানে সংক্রমণ তুঙ্গে পৌঁছতে আর খানিকটা সময় লাগবে। সম্ভবত এই মাসের মাঝামাঝি তা হবে।
পূর্ব ভারতে করোনা সংক্রমণের পরিস্থিতি নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি। রণদীপ গুলেরিয়া জানান, অসম এবং বাংলার মতো রাজ্যে করোনা সংক্রমণ বাড়ছে। এ ব্যাপারে সতর্ক হওয়ার দরকার রয়েছে।
অনেকেই আশঙ্কা করছেন, তৃতীয় ঢেউয়ের। সবাইকে টিকা দেওয়া দরকারি? এ ব্যাপারে তিনি বলেন, সেই আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। তবে বেশিরভাগ মানুষকে টিকা দিতে পারলে, তৃতীয় ঢেউ ভয়াবহ হবে না।
সিরাম ইন্সটিটিউট অফ ইন্ডিয়া জানাচ্ছে, জুলাই পর্যন্ত এ দেশে টিকার অভাব থাকবে। এত বড় দেশে টিকা দেওয়ার কাজ সহজ নয়।