আবহাওয়ার খবর লা নিনার জেরে চলতি মরশুমে জাঁকিয়ে শীত পড়ার আশায় কার্যত জল পড়েছে। পৌষ মাস গড়ালেও এখনও কনকনে ঠান্ডা অধরাই। ডিসেম্বরের শুরুতে আশা জাগিয়েও প্রত্যাশামাফিক পারফর্ম করতে পারেনি শীত। এবার বড়দিনে ঠান্ডার কামব্যাক হবে কি না, তা নিয়ে অপেক্ষায় শীতপ্রেমীরা।
বড়দিনে শীত ফিরবে?
তবে রাজ্যবাসীর আশায় জল ঢেলেছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, আগামী ৪ দিন তাপমাত্রার কোনও পরিবর্তন হবে না। তারপর ফের নামবে পারদ। বর্ষবরণের আগেই তাপমাত্রা ২-৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।
শনিবার সকাল থেকে কলকাতায় কুয়াশার দাপট ছিল। তবে ধীরে ধীরে পরিষ্কার হচ্ছে আকাশ। সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ঘোরাফেরা করবে ২৬ এবং ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে।
কলকাতার পাশাপাশি উইকএন্ড জুড়ে কুয়াশার দাপট দেখা যাবে জেলায় জেলায়। দৃশ্যমানতা অনেকটাই কমে যেতে পারে সকালের দিকে। মূলত কুয়াশার দাপট দেখা যাবে পুরুলিয়া, পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূমে। এই ৩ জেলায় হলুদ সতর্কতা জারি করেছে হাওয়া অফিস। এই ৩ জেলায় দৃশ্যমানতা আগামী ২-৩ দিন ৫০ মিটারে নামতে পারে।
দক্ষিণবঙ্গের মতো উইকএন্ডে উত্তরবঙ্গেও কুয়াশা দেখা যাবে। দুই দিনাজপুর, মালদায় দৃশ্যমানতা নামতে পারে ৫০ মিটারে। সেখানেও হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
কোথায় কেমন তাপমাত্রা?
শুক্রবার দক্ষিণবঙ্গের শীতলতম স্থান ছিল শ্রীনিকেতন। সেখানে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১২.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। উত্তরবঙ্গের সমতলের মধ্যে শীতলতম ছিল আলিপুরদুয়ার। সেখানে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দার্জিলিঙের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
শুক্রবার কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে ০.০১ ডিগ্রি কম। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে ১.৫ ডিগ্রি বেশি। বাতালে আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ ঘোরাফেরা করেছে ৯৪ থেকে ৫২ শতাংশের মধ্যে।