scorecardresearch
 

Junior Doctors Hunger Strike: মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর আমরণ অনশন প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত জুনিয়র ডাক্তারদের

নবান্নের বৈঠকে জুনিয়র ডাক্তারদের অনশন তুলে নেওয়ার কথা বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অবশেষে সেই দাবিতে সাড়া দিলেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। আমরণ অনশন প্রত্যাহার করলেন জুনিয়র চিকিৎসকরা।

Advertisement
 Junior Doctors Hunger Strike Junior Doctors Hunger Strike

নবান্নের বৈঠকে জুনিয়র ডাক্তারদের অনশন তুলে নেওয়ার কথা বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অবশেষে সেই দাবিতে সাড়া দিলেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। আমরণ অনশন প্রত্যাহার করলেন জুনিয়র চিকিৎসকরা।

 গত ৫ অক্টোবর থেকে ধর্মতলায় ‘আমরণ অনশন’-এ বসেছিলেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। পাশাপাশি, উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজেও চলছিল একই কর্মসূচি। ১০ দফা দাবি আদায়ে অনড় ছিলেন তাঁরা। শেষ পর্যন্ত সোমবার অনশন প্রত্যাহার করলেন আন্দোলনকারীরা। নবান্ন থেকে ফিরে ‘আমরণ অনশন’ প্রত্যাহার করলেন জুনিয়র ডাক্তারেরা।

নবান্ন থেকে ফিরে নিজেদের মধ্যে বৈঠকে বসেন জুনিয়র ডাক্তাররা। এরপরেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি ডাক্তারেরা। জুনিয়র ডাক্তার দেবাশিস হালদার বলেন, ‘‘অভয়ার ন্যায় বিচারের জন্য আন্দোলন চলছে। সেখানে এত কমিটি নিয়ে কেন কথা হল, প্রশ্ন উঠেছে। আমাদের স্পষ্ট করে দেওয়া প্রয়োজন যে আর একটা আরজি-কর কাণ্ড যাতে না-হয় সে জন্য উদ্যোগ নিয়েছি। আমরা সে জন্য লড়াই করছি। সে জন্যই নির্বাচনের কথা কথা বলেছি, অভিযোগ জানানোর ব্যবস্থা করার কথা বলেছি।’’ দেবাশিস হালদার আরও বলেন, ‘‘যাঁরা সেখানে ছিলেন, এমনকি, আরজি করের অধ্যক্ষকে চুপ করিয়ে দেওয়া হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, তিনি কেন জানতে পারেননি ৪৭ জনের শাস্তির বিষয়ে। থ্রেট কালচার নিয়ে কথা বলায় মুখ্যমন্ত্রী রীতিমতো ধমক দিয়ে চুপ করিয়ে দিয়েছেন।’’ বৈঠক প্রসঙ্গে তিনি এ-ও বলেন, আন্দোলনের মাধ্যমে নির্বাচনের দাবি ছিনিয়ে এনেছি।

আরও পড়ুন

জুনিয়র ডাক্তার এবং মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠক প্রসঙ্গে অনশনমঞ্চ থেকে জুনিয়র ডাক্তাররা  বলেন, ‘‘আমরা চেয়েছিলাম, যত বেশি কেন্দ্রীভূত করা যায় একটা সিস্টেমকে। কিন্তু স্বাস্থ্যসচিবকে নিয়ে আমাদের কথা শোনা হয়নি।’’ জুনিয়র ডাক্তাররা এও জানিয়ে দেন, ‘‘বৈঠকে প্রশাসনের শরীরী ভাষা পছন্দ হয়নি। পরীক্ষার খাতা দেখা হবে বলে থ্রেট দেওয়া হয়েছে। ওঁদের ভূমিকা ইতিবাচক ছিল না।’’ এরপরেই বলা হয়, নির্যাতিতার বাবা-মা অনুরোধ করছেন অনসন তুলতে, তাই শেষপর্যন্ত অনশন তোলা হচ্ছে।

Advertisement

দেবাশিস হালদার সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা জানি না, ভুলিয়ে দেওয়ার জন্য কথা বলা হল কিনা। তবে ম্যান পাওয়ার যদি না আসে, সার্বিক প্রশাসনিক সিস্টেম যদি ঠিক-না হয় তাহলে কিছু হবে না। আরজি-কর কাণ্ডে নির্যাতিতার বাবা-মা এসেছেন। তাঁরা রিকোয়েস্ট করছেন। তাঁরা জানাচ্ছেন, তাঁরা এক সন্তান হারিয়েছেন। সরকারের কথা সদ্‌র্থক যে লেগেছে তা নয়। কিন্তু অনশনরতদের কারও কিছু যেন না-হয়। তাঁরা এক সন্তান হারিয়েছেন। যাঁদের জন্য অনশন করছেন।’ এরপরেই বলা হয়, ‘আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আন্দোলন চালিয়ে নিয়ে যাওয়ার। আমাদের লড়াইকে আরও সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার নিয়ে অনশন তুলছি।’

পরবর্তী কর্মসূচির ঘোষণা 
অনশন তুললেও আন্দোলন থামবে না, তাও স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। আগামিদিনের কর্মসূচিও ঘোষণা করা হয় এদিন, আগামী শনিবার মহাসমাবেশ হবে। আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে সেটা হবে। তাও ঘোষণা করা হয়। পাশাপাশি মঙ্গলে সর্বাত্মক চিকিৎসক ধর্মঘটও তুলে নেওয়া হয়। 

Advertisement