ট্যাংরার অভিজাত আবাসন থেকে উদ্ধার যুবতীর দেহ। তিনি ২৫ তলায় থাকতেন। তাঁর নাম গরীমা লাঢা (২৬)। দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। তবে প্রাথমিকভাবে অনুমান ওই যুবতী আত্মহত্যা করেছেন।
সোমবার সকাল সাড়ে সাতটা। আবাসনের বাসিন্দারা উপর থেকে নিচে ভারী কিছু পড়ার শব্দ পান। বাইরে এসে দেখেন, গরীমার রক্তাক্ত দেহ। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। সেখান থেকে দেহ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।
সূত্রের খবর, বিয়ে না হওয়া নিয়ে বিব্রত ছিলেন গরীমা। অন্য নানা অশান্তিও চলছিল। তার জেরে গত কয়েকদিন ধরেই মানসিক অবসাদের শিকার ছিলেন। গতরাতেও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে বসে খাবার খান। তারপর নিজের ঘরে চলে আসেন। সেই ঘর থেকে উদ্ধার হয়েছে মদের বোতল ও একাধিক সামগ্রী।
পুলিশ সূত্রে খবর, রাতে নিজের ঘরে আসার পর গরীমার সঙ্গে আর কথা হয়নি তাঁর বাড়ির লোকজনের। এরপর সকালে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, গরীমা জানলা থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। যদিও পরিবারের সদস্যরা এই নিয়ে মুখ খোলেননি।
কয়েক দিন অন্তর অন্তরই সামনে আসছে আত্মহত্যার ঘটনা। কয়েকদিন আগেই আনন্দপুরের একটি অভিজাত আবাসন থেকে উদ্ধার হয়েছিল সঞ্চিতা আগরওয়াল নামে মধ্যবয়স্ক মহিলার দেহ। তাঁর দুই সন্তানও রয়েছে। ওই কমপ্লেক্সের ১৯ তলায় থাকতেন তিনি।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছিল, সঞ্চিতা এমনিতই কথা কম বলতেন। মানসিক অবসাদ ছিল। সেই কারণেই ১৯ তলা থেকে ঝাঁপ দিয়েছিলেন। মাথার খুলি ফেটে যায়। ঘটনাস্থলেই মারা যান।