scorecardresearch
 

EXCLUSIVE: এযাবৎ কলকাতা মেট্রোয় প্রায় ৪০০ জনের ঝাঁপ, সুইসাইড কত? চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট

খবরের কাগজে চোখ রাখলে প্রায় প্রতিদিনই আত্মহত্যার খবর চোখে পড়ে। আর নিজেকে শেষ করে দেওয়ার সিদ্ধান্তের পিছনে অনেক সময়েই থাকে অতি তুচ্ছ কোনও কারণ। কখনও শুধু মা-বাবার বকুনি খেয়ে সন্তান চরম সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলে। আবার কখনও মোবাইল বা কোনও ইলেকট্রনিক গ্যাজেট না পাওয়ার অভিমানে হারিয়ে যায় সবরকমের স্নেহ-ভালবাসার বন্ধন থেকে।

Advertisement
ফাইল ছবি। ফাইল ছবি।
হাইলাইটস
  • খবরের কাগজে চোখ রাখলে প্রায় প্রতিদিনই আত্মহত্যার খবর চোখে পড়ে।
  • আর নিজেকে শেষ করে দেওয়ার সিদ্ধান্তের পিছনে অনেক সময়েই থাকে অতি তুচ্ছ কোনও কারণ।

খবরের কাগজে চোখ রাখলে প্রায় প্রতিদিনই আত্মহত্যার খবর চোখে পড়ে। আর নিজেকে শেষ করে দেওয়ার সিদ্ধান্তের পিছনে অনেক সময়েই থাকে অতি তুচ্ছ কোনও কারণ। কখনও শুধু মা-বাবার বকুনি খেয়ে সন্তান চরম সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলে। আবার কখনও মোবাইল বা কোনও ইলেকট্রনিক গ্যাজেট না পাওয়ার অভিমানে হারিয়ে যায় সবরকমের স্নেহ-ভালবাসার বন্ধন থেকে। বিশ্ব জুড়েই আত্মহত্যা একটি বড় সমস্যা। কলকাতা মেট্রোতেও আত্মহত্যার ঘটনা প্রায়শই ঘটে। কিছু ক্ষেত্রে বাঁচানো সম্ভব হয় না। কলকাতা মেট্রো আত্মহত্যা রুখতে একাধিক সচেতনতা মূলক ব্যবস্থা নিয়েছে। 

মেট্রোর তরফে জানানো হয়েছে, কলকাতা মেট্রোতে এখন পর্যন্ত ৩৬১টি আত্মহত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। মেট্রো কর্মীরা ১৮৭টি মৃত্যু রুখতে পারেনি। কিন্তু বাঁচানো গেছে ১৮৮টি প্রাণ। গত বছর, অর্থাৎ ২০২২ সালে কলকাতা মেট্রোয় ৬টি আত্মহত্যার চেষ্টা করা হয়েছিল। এবং এর মধ্যে ২টি প্রচেষ্টা মেট্রোর সতর্কতা কর্মীদের দ্বারা ব্যর্থ হয়েছিল। চলতি বছরে এ পর্যন্ত ৯টি আত্মহত্যার চেষ্টা হয়েছে কলকাতা মেট্রোয়। যার মধ্যে ৭টি প্রচেষ্টা মেট্রো কর্মীরা ব্যর্থ করেছে। অন-ডিউটি স্টেশন কর্মীরা এবং RPF কর্মীরা এই সামাজিক কুফল সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করার জন্য সর্বদা সজাগ থাকে। 

আত্মহত্যা রুখতে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর সমস্ত স্টেশনে প্ল্যাটফর্ম স্ক্রিন ডোর স্থাপন করা হয়েছে। সমস্ত স্টেশনে প্ল্যাকার্ড, পোস্টার প্রদর্শন করা হয়েছে যাতে সকলকে আত্মহত্যা থেকে বিরত থাকার অনুরোধ জানানো হয়। আত্মহত্যা প্রবণ ব্যক্তি এবং তাদের আত্মীয়দের সহায়তার জন্য বিভিন্ন মেট্রো স্টেশনে হেল্পলাইন নম্বরগুলিও দেখান হয়। মেট্রো কর্তৃপক্ষের মতে, আত্মহত্যা প্রতিরোধ করা যায়। এর জন্য উদ্যোগী হতে হবে। পাশে দাঁড়াতে হবে মানসিক ভাবে ভেঙে পড়া মানুষগুলোর। হঠাৎ কোনও বিপর্যয়ে আঘাত পাওয়া মানুষগুলোকে জোগাতে হবে মানসিক শক্তি।
 

আরও পড়ুন

 

Advertisement

Advertisement