বাসে মারণ হার্ট অ্যাটাক। মৃত্যু হল যুবকের। এই ঘটনা ঘটেছে ভিআইপি রোডের বাগুইআটিতে। মৃতের নাম সুরজিৎ নন্দী। ২৬ বছরের ওই যুবকের বাঙুর অ্যাভিনিউ সংলগ্ন দমদম পার্ক এলাকার বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, তেঘরিয়া থেকে বাসে উঠেছিলেন সুরজিৎ নন্দী। বসেছিলেন পিছনের সিটে জানলার ধারে। হঠাৎ দরদর করে ঘামতে থাকেন তিনি। শরীরে প্রচণ্ড অস্বস্তি হচ্ছিল তাঁর। তার পর সিট থেকে পড়ে যান তিনি। জোরে শ্বাসপ্রশ্বাস নিতে থাকেন। তড়িঘড়ি তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও তাঁকে বাঁচানো যায়নি। সুরজিতের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়ে দেন চিকিৎসকরা।
বাসের কন্ডাক্টর জানিয়েছেন, তেঘরিয়া থেকে বাসে উঠেছিলেন সুরজিৎ। দমদম পার্কে নামার কথা ছিল। বাসে ওঠার সময় তাঁর মধ্যে কোনও অস্বাভাবিকতা লক্ষ্য করা যায়নি। কিছুক্ষণ পর তিনি ঘামতে শুরু করেন। তখন কেউ বিষয়টি গুরুত্ব দেয়নি। সকলে ভেবেছিলেন,গরমে হয়তো ঘামছিলেন। তবে সিট থেকে তিনি পড়ে যেতেই সবার হুঁশ ফেরে। তাঁকে ধরে বসানো চেষ্টা করা হয়। জোরে জোরে শ্বাস নিতে থাকেন সুরজিৎ। তার পর ঢলে পড়েন তিনি।
বাস থামিয়ে কর্তব্যরত ট্র্যাফিক পুলিশকে গোটা ঘটনা জানান কন্ডাক্টর। সিভিক ভলান্টিয়ারদের সহযোগিতায় তাঁকে বাস থেকে বের করা হয়। নিয়ে যাওয়া হয় জোড়া মন্দির সংলগ্ন একটি বেসরকারি হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
সুরজিতের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।চিকিৎসকদের প্রাথমিক অনুমান,হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যু হয়েছে ওই যুবকের। তাঁর শরীরে হার্ট অ্যাটাকের উপসর্গ দেখা গিয়েছিল। ঘামের সঙ্গে শ্বাসকষ্ট হচ্ছিল তাঁর। চিকিৎসকদের কথায়, আরও কিছুটা সময় আগে হাসপাতালে নিয়ে যেতে পারলে বেঁচে যেতেন। তার অন্য কোনও রোগ ছিল কিনা তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
হার্ট অ্যাটাক এক মাস আগেই জানান দেয়। তাই সাবধান থাকলে মৃত্যু এড়াতে পারেন। কী কী লক্ষণ দেখে বুঝবেন, তা জানতে ক্লিক করুন- হার্ট অ্যাটাক হঠাৎ আসে না, এক মাস আগে দেখা দেয় এই ১২ লক্ষণ