বিজেপি নেতা সুকান্ত মজুমদার।-ফাইল ছবিবিজেপি নেতা সুকান্ত মজুমদার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও রাজ্য প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে তীব্র ভাষায় আক্রমণ শানিয়েছেন। তাঁর বক্তব্যে, রাজ্যের মর্যাদা বিশ্বদরবারে ক্ষুণ্ণ হওয়ার পরও মুখ্যমন্ত্রী এবং তাঁর অনুগত প্রশাসন বা তৃণমূল কংগ্রেসের নেতাকর্মীদের মধ্যে ন্যূনতম আত্মসমালোচনার মনোভাব দেখা যায়নি। বরং, দ্বিগুণ অহংকার নিয়ে ভ্রান্ত তথ্য ছড়িয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
সুকান্ত মজুমদারের দাবি, রাজ্যের সচেতন ও প্রতিবাদী মানুষের প্রবল চাপের মুখে পড়ে মুখ্যমন্ত্রী আজ মুখ্য সচিবকে কয়েকজন পুলিশ আধিকারিকের বিরুদ্ধে তথাকথিত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। তবে তাঁর মতে, এই পদক্ষেপ আদতে একটি 'প্রহসনমূলক নাটক' ছাড়া কিছুই নয়। তিনি বলেন, 'বাংলার মানুষ খুব ভালো করেই জানেন যে, এই প্রতীকী ও প্রসাধনী ব্যবস্থার কোনও বাস্তব গুরুত্ব বা দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব নেই।'
বিজেপি নেতার বক্তব্যে মূল প্রশ্নটি এখনও অমীমাংসিত রয়ে গেছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্ত্রিসভার সেই বিতর্কিত, যাঁকে তিনি কটাক্ষ করে 'সেলফি-শ্রী' মন্ত্রী বলে উল্লেখ করেছেন, তাঁর বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে? কেন এখনও তাঁর গ্রেফতারের কোনও নির্দেশ জারি হয়নি? সুকান্ত মজুমদারের অভিযোগ, যুব ভারতী ক্রীড়াঙ্গনে আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ক্রীড়াবিদ লিওনেল মেসির সঙ্গে জোরপূর্বক আলিঙ্গন, প্রকাশ্যে নিরাপত্তা বিধি লঙ্ঘন এবং সেলফি তোলার অশোভন আচরণ, এই সমস্ত ঘটনার পরেও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীর বিরুদ্ধে কোনও কঠোর পদক্ষেপ চোখে পড়ছে না।
তিনি আরও বলেন, কীভাবে সেই তথাকথিত 'সেলফি-শ্রী' ক্রীড়ামন্ত্রী এখন ঘরে বসে পদত্যাগের নাটক সাজাতে পারেন, তা বোধগম্য নয়। বাংলার মানুষ এই ধরনের ফাঁপা নাটক বা লোক দেখানো অনুশোচনায় বিন্দুমাত্র সহানুভূতি দেখাবে না বলেই তাঁর দাবি।
সুকান্ত মজুমদারের বক্তব্যে শেষ পর্যন্ত স্পষ্ট বার্তা, বিশ্বের সামনে পশ্চিমবঙ্গকে অপমান করা কোনওভাবেই ক্ষমার যোগ্য নয়। এটি একটি গুরুতর অপরাধ এবং এর জন্য দায়ীদের শাস্তি অনিবার্য।