কালীঘাটের কাকু নামে পরিচিত এই সুজয় কৃষ্ণ ভদ্রকে নিয়ে প্রথম থেকেই গুঞ্জনের শেষ নেই। তার পাড়াতেই কান পাতলেই উঠে আসে তার উত্থান নিয়ে নানান গুঞ্জন। প্রাসাদ প্রমাণ বাড়ি নিয়ে নানা গুঞ্জন। রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিধানসভা কেন্দ্র বেহালা পশ্চিমের ফকির পাড়া রোডের বাসিন্দা সুজয় কৃষ্ণ ভদ্র। ওই পাড়াতেই দু-দুটি বাড়ি তাঁর। আছে একটি অফিসও। সবকটিই কার্যত ঝাঁ চকচকে। তার আদি বাড়ির থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বেই আরেকটি বিলাসবহুল বাড়ি বানিয়েছিলেন সুজয় বাবু। সাধ করে সেই বাড়ির নাম দিয়েছিলেন রাধারানী। এই বাড়ি যেন নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার চাদরে মোরা থাকে। অর্থাৎ কে বাড়িতে আসছেন, কে কলিং বেল বাজাচ্ছেন সবকিছুই নখদর্পণে থাকে কালীঘাটের কাকুর। কারণ চারিদিকে সিসিটিভিতে মোরা। এই প্রাসাদোপম বাড়িতেই নিজের পরিবার নিয়ে থাকেন কালীঘাটের কাকু। এই বাড়ির সদর দরজায় লাগানো ক্যামেরা এবং মাইক যুক্ত অত্যাধুনিক কলিং বেল। একবার তার দরজার কলিং বেল টিপলেই আগন্তুকের ছবি ভেসে উঠবে কাকুর ঘরের ভেতরে থাকা টিভিতে। দরজা না খুলেও কলিং বেলে লাগানো মাইক্রোফোন দিয়েই ঘরের ভেতর থেকেই আগন্তুকের সঙ্গে কথা বলতে পারবেন পরিবারের সদস্যরা। এর পাশাপাশি তার আর কী কী রয়েছে তা নিয়ে সাধারণ মানুষের কৌতুহল কম নয়। কাকুর পাহাড় প্রমাণ সম্পত্তি নিয়েও নানা জনের নানা মতও রয়েছে। যদিও সুজয় কৃষ্ণ ভদ্র বারে বারেই দাবি করে এসেছেন সৎ পথে চাকরি করে কষ্টে অর্জিত অর্থ দিয়েই এই সম্পত্তি তৈরি করেছেন তিনি। কিন্তু তিনি কী এমন রোজগার করতেন যে এই বাড়ি ও সম্পত্তির মালিক তিনি হলেন? তার বাড়ি ও সম্পত্তি দেখে প্রশ্ন তুলছেন আমজনতা।
Kalighat Kaku's House.