Pangas Fish Eating Benefits: বাঙালির মাছ ছাড়া চলে না। মাছেভাতে বাঙালি তো আর এমনিই নাম হয়নি!এমনিতে বিক্রির নিরিখে সবচেয়ে এগিয়ে রুই-কাতলা। এগুলির দাম মোটামুটি এখনও সাধ্যের মধ্যে। এছাড়াও বহু মাছ আছে পছন্দের তালিকায়। কিন্ত দামের দিকে নজর দিয়ে সেগুলি পাতে তোলা খুব একটা হয়ে ওঠে না। তবে সবার নজর থাকে ইলিশের দিকে। কবে দাম নামবে, সেদিকে তাকিয়ে থাকেন মানুষ। কিন্তু বর্ষা হোক বা অন্য মরশুম, ভাল পাকা ইলিশ খেতে গেলে হাজার-দেড়হাজারের কমে তাতে হাত দেওয়া যায় না। ফলে অনেককেই বিফল মনোরথ হয়ে ফিরে আসতে হয়।
তবে আজ যে মাছের কথা বলব, এ মাছে ইলিশের মতোই পুষ্টিগুণ রয়েছে। নিয়ম মেনে খেতে পারলে কার্ডিওভাসকুলার রোগ নিরাময় করতে পারে। এছাড়াও নানা রকম রোগকে দূরে রাখে ও শরীর ভাল রাখে। আর দাম ইলিশের তুলনায় দাম নগণ্য। খেতেও সুস্বাদু। কেউ কেউ নাক সিঁটকোলেও, এই মাছের জনপ্রিয়তা আছে। এটি হল পাঙ্গাস মাছ। বাংলার সব বাজারেই মোটামুটি পাওয়া যায়।
পাঙ্গাস মাছ কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। এই মাছে কোলেস্টেরল খুব অল্প পরিমাণে থাকে। যাদের শরীরে কোলেস্টেরলের মত সমস্যা আছে তারা এই মাছ খেতে পারেন। অসম্পৃক্ত চর্বির উপাদান শরীরে থাকা, খারাপ কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমাতে সাহায্য করে।
পাঙ্গাস মাছ কার্ডিওভাসকুলার সিস্টেমের সঙ্গে যুক্ত রোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। রোগের গঠন প্রতিরোধ এটি খুবই কার্যকর। পাঙ্গাস মাছের অসম্পৃক্ত চর্বির পরিমাণ পাঙ্গাস মাছের মোট পুষ্টির মানের ৫০ শতাংশ।
এই মাছ পেশির গঠন শক্তিশালী করতে ও পেশি শক্তি বাড়াতে সহায়তা করে। যারা ডায়েট প্রোগ্রাম করছেন তারা পাঙ্গাস মাছ খেতে পারেন। পাঙ্গাস মাছের মাংস উচ্চ প্রোটিন উপাদানের জন্য এই মাংস খুবই কার্যকরী।
পাঙ্গাস মাছ নিয়মিত খেলে হার মেরুদন্ডে ফসফরাস এবং উচ্চ ক্যালসিয়াম মেলে। এগুলি শরীরের ফসফরাস ও ক্যালসিয়ামের প্রয়োজনীয়তা মেটায়। দাঁত এবং হাড় মজবুত করে।
পাঙ্গাস মাছের পুষ্টি উপাদান খুব বেশি, পাঙ্গাসে প্রোটিন এবং অসম্পৃক্ত চর্বি থাকে, যা শরীরে স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী রক্তনালীতে চর্বি জমতে বাধা দেয়, পেশির বৃদ্ধি ত্বরান্বিত করে।
পাঙ্গাস মাছ করোনারি হৃদরোগ প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে। এটি এক ধরনের দীর্ঘস্থায়ী রোগ যা প্রতিরোধ করা যায়। কোলেস্টেরল এবং অন্যান্য কার্ডিওভাসকুলার রোগের মতোই পাঙ্গাস মাছের অসম্পৃক্ত চর্বি শরীরকে করোনারি হৃদরোগ থেকে রক্ষা করে। এর কারণ হলো অসম্পৃক্ত চর্বি স্থির হয় না এবং রক্তনালীতে রক্তের প্রবাহকে বাধা দেয়।
গর্ভবতী মহিলাদের জন্য পাঙ্গাস মাছ গর্ভাবস্থায় ভ্রুণের স্বাস্থ্য এবং বৃদ্ধির জন্য উপকারী হতে পারে। পাঙ্গাস মাছের সমৃদ্ধ ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডের সুবিধার কারণ হয়। পাঙ্গাস মাছ শিশু গর্ভে থাকাকালীন ভ্রুণের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে সহায়তা করে।