scorecardresearch
 

Diet Chart According To Age: কোন বয়সে কী খেলে আজীবন সুস্থ থাকবেন? রইল ডায়েট চার্ট

৩০ বছর পেরোনোর পর খাবারের দিকে বিশেষ যত্ন না নিলে শরীরে ফ্যাট বাড়তে শুরু করে। যা নানা দুরারোগ্য রোগের কারণ। বয়সের প্রতিটি পর্যায়ে স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ করা হলে স্থূলতা নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। শরীর থাকে সুস্থ।

Advertisement
Diet Chart। ডায়েট চার্ট। Diet Chart। ডায়েট চার্ট।
হাইলাইটস
  • বয়স অনুযায়ী মানুন ডায়েট।
  • সুস্থ থাকবেন আজীবন।

শরীরকে সুস্থ রাখতে হলে দরকার স্বাস্থ্যকর খাবার। স্বাস্থ্যকর ডায়েটের মানে পুষ্টিতে পরিপূর্ণ খাবার। একটি স্বাস্থ্য সংক্রান্ত গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে,মানব শরীরে ৬টি প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান দরকার। যেমন- ভিটামিন,মিনারেল,প্রোটিন,ফ্যাট,জল এবং কার্বোহাইড্রেট। সুস্থ থাকার জন্য প্রতিদিনের খাবারে এই সব পুষ্টি উপাদান থাকা প্রয়োজন। ৩০-৪০ বছর বয়সের মধ্যে শরীরে বিবিধ পরিবর্তন হয়। এই বয়সে মহিলা এবং পুরুষদের বিপাক ক্রিয়া কমে যায়। বাড়তে থাকে খিদে।

৩০ বছর পেরোনোর পর খাবারের দিকে বিশেষ যত্ন না নিলে শরীরে ফ্যাট বাড়তে শুরু করে। যা নানা দুরারোগ্য রোগের কারণ। বয়সের প্রতিটি পর্যায়ে স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ করা হলে স্থূলতা নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। শরীর থাকে সুস্থ। চলুন জেনে নেওয়া যাক, বয়স অনুযায়ী ডায়েট প্ল্যান কী হওয়া উচিত-

৫-১০ বছর বয়সের ডায়েট- পাঁচ থেকে দশ বছর বয়সী শিশুর শরীরে ক্যালসিয়ামের প্রয়োজন বেশি। শিশুদের শরীরের বিকাশের জন্য প্রতিদিন প্রায় ৫০০-৬৫০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম দরকার। শিশুদের ক্যালসিয়ামের ঘাটতি মেটাতে ডায়েটে দুধ, দই, পনির, বাদাম, টফু, সয়া, ব্রকলি, চিয়া বীজ রাখা উচিত। এই সব খাবার ক্যালসিয়ামের চাহিদা পূরণ করে।

আরও পড়ুন

১০-১২ বছর বয়সের ডায়েট- ১০ ​​বছর বয়সী শিশুর পাতে পুষ্টিকর খাবার থাকা আবশ্যক। ১০-১২ বছর বয়সী একটি শিশুকে দিনে চারবার খাওয়ান। সন্তানের খাদ্যতালিকায় তাজা ফলের রস, প্রোবায়োটিক দই এবং সবজির রস অন্তর্ভুক্ত করুন। শিশুকে রুটি খাওয়ান। প্রতিদিন সকালের জলখাবারে অঙ্কুরিত ছোলা, বাদাম ও মটরশুঁটি রাখুন। 

১৩-১৫ বছর বয়সের ডায়েট- কৈশোরে বেড়ে ওঠার সময়। এই বয়সে বুদ্ধিবৃত্তিক ও শারীরিক বিকাশের জন্য খাদ্যতালিকায় শিশুকে ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার যেমন- দুধ, পনির, দই, সয়াবিন, টফু ও বাদাম খাওয়ান। ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার যেমন- শস্য, মাছ, প্রোটিন জাতীয় খাবার, যেমন- লাল মাংস, মাছ, মসুর ডাল এবং সবুজ শাকসবজি।

Advertisement

২০-৩০ বছর বয়সের ডায়েট- ২০-৩০ বছর বয়সে যুবক-যুবতীদের জাঙ্ক ফুড খাওয়ার প্রবণতা বেশি। এতে শরীর পর্যাপ্ত পুষ্টি পায় না। এই বয়সে শরীরের যথেষ্ট প্রোটিন এবং আয়রন প্রয়োজন। ডায়েটে ক্যালসিয়াম, আয়রন এবং ফোলেট রাখুন। ক্যালসিয়াম খেলে হাড় মজবুত হয়। মস্তিষ্ক দ্রুত কাজ করে। আয়রন শরীরে মেটাবলিজম বাড়ায়। এই বয়সে পাতে রাখুন দই, দুধ, ডাল, চিনাবাদাম এবং পালং শাক।

৩০-৪০ বছর বয়সে ডায়েট- ক্যালোরি এবং ম্যাগনেসিয়াম গ্রহণের উপর আরও জোর দেওয়া উচিত। এই বয়সে পেশীগুলি হ্রাস পেতে শুরু করে। ধীর হতে শুরু করে বিপাকক্রিয়া। খাবারে ম্যাগনেসিয়ামের পরিমাণ বাড়ালে শরীর শক্তি পাবে। এই বয়সে মানুষের খাদ্যতালিকায় বাদাম, কাজু, দুধ, দই ও পালং শাক থাকা উচিত।

৪০-৫০ বছর বয়সের ডায়েট- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হতে শুরু করে। শরীরও খুব দ্রুত অসুস্থ হতে শুরু করে। এই বয়সে শরীরকে সুস্থ রাখতে হলে প্রয়োজন স্বাস্থ্যকর খাবার। খাবারে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন যুক্ত জিনিস খেতে হবে। ক্যালসিয়াম খেলে হাড় মজবুত হবে। শরীর সুস্থ থাকবে। এই বয়সে মানুষের খাদ্যতালিকায় শাক, মাছের মতো জিনিস অন্তর্ভুক্ত করা দরকার।

৫০ বছর বয়সের ডায়েট- ৫০ বছরের ঊর্ধ্বে মানুষের শরীরে দুর্বলতা আরও বেড়ে যায়। কমে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। এই বয়সে শরীরকে সুস্থ রাখতে খাদ্যতালিকায় ফল, শাকসবজি, গোটা শস্য, ফ্যাটহীন প্রোটিন এবং কম চর্বিযুক্ত দুগ্ধজাত খাবার অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। এই ধরনের খাবার শরীরের পুষ্টির চাহিদা পূরণ করে। তা শরীরকে সুস্থ রাখে।

Advertisement