
পাটিসাপটা রেসিপিশীতের পারদ ক্রমেই নামছে। আর হাতে গোনা দিন পরে বাঙালির পৌষ পার্বণ উৎসব। পশ্চিমবাংলায় এই বিশেষ দিনটি পৌষ সংক্রান্তি বা মকর সংক্রান্তি নামেও পরিচিত। গ্ৰাম বাংলার বিভিন্ন বাড়িতে আলপনা দেওয়া হয়। তাছাড়াও ঘরে ঘরে পিঠে- পুলি-পায়েস তৈরি করে নতুন মাসকে স্বাগত জানানো হয়। সপ্তাহ খানেক আগে থেকেই চলে তার প্রস্তুতি। এই পৌষ সংক্রান্তিতে মূলত চালের গুড়ো, ময়দা, নারকেল, দুধ, গুড় দিয়ে বিভিন্ন পিঠে তৈরি হয়। তার সঙ্গে তিল, কদমা এইসব খাওয়ার রীতিও রয়েছে।
তবে শুধু পৌষ পার্বণ নয়, সারা শীতকাল জুড়েই রকমারি পিঠে-পায়েস খাওয়ার চল রয়েছে। বিশেষত বাজারে খেজুর গুড় আসতেই, এসব পিঠের চাহিদা বাড়ে। নানা রকম পিঠের মধ্যে, পাটিসাপটা অত্যন্ত পরিচিত, জনপ্রিয় এবং সুস্বাদু একটি পিঠে। ঘরে- ঘরে এই পিঠে তৈরি হয়। তবে অনেকেই বুঝতে পারেন না, সব উপকরণের সঠিক পরিমাপ কী। কিংবা কীভাবে বানাতে স্বাদে সেরা হবে। জেনে নিন নারকেল ক্ষীরের পাটিসাপটার সহজ রেসিপি।

উপকরণ (৪-৫ জনের)
* দুধ- ২ লিটার
* খেজুর গুড়- ৫০০ গ্রাম
* গোবিন্দ ভোগ চালের গুঁড়ো - ১.৫ কাপ
* ময়দা - ১.৫ কাপ
* সুজি - ১.৫ কাপ
* নারকেল কোরা- ১ টা (নারকেলের)
* ক্ষীর- ১৫০ গ্রাম
* ঘি- পরিমাণ মতো
* নুন- ১ চিমটি

প্রণালী
* একটা বড় পাত্রে চালের গুড়ো, সুজি আর ময়দা দিয়ে, এর মধ্যে নুন আর ঘি দিয়ে ভাল ভাবে মিশিয়ে নিতে হবে।
* তারপর অল্প অল্প করে দুধ দিয়ে একটা ব্যাটার তৈরি করে নিন।
* এবার এর মধ্যে গুড় দিয়ে মিশিয়ে ১ ঘণ্টা ঢেকে রেখে দিতে হবে।
* সেই সময় একটা কড়াইতে নারকেল কোরা, গুড় ও ক্ষীরের একটা পুর তৈরি করে নিন।
* ব্যাটারটা বেশি ঘন মনে হলে, একটু দুধ দিয়ে মিশিয়ে পাতলা করে নিতে হবে।
* তাওয়া গরম করে ঘি ব্রাশ করে হাতা দিয়ে অল্প করে ব্যাটার দিয়ে ছড়িয়ে দিন।
* এবার মাঝখানে নারকেল ও ক্ষীরের পুরটা ভরে মুড়িয়ে দিতে হবে।
* এভাবে মাঝারি আঁচে একে একে সব পাটিসাপটা ভেজে নিলেলে তৈরি হয়ে যাবে ক্ষীরের পাটিসাপটা।
* তবে পাটিসাপটা গরম গরম খেলে গ্যাস- অম্বল বা পেটের সমস্যা হতে পারে। তাই সাধারণ তাপমাত্রায় এনে তারপর খেলেই সেরা স্বাদ পাওয়া যাবে।