
যোগগুরু বাবা রামদেব প্রায়শই তার ভিডিও এবং অনুষ্ঠানগুলিতে বিভিন্ন রোগের ঘরোয়া প্রতিকার শেয়ার করেন। তিনি এই প্রতিকারগুলির সাহায্যে অনেক গুরুতর রোগের চিকিৎসা প্রদর্শন করেছেন।

এই ধারা অব্যাহত রেখে, তিনি সম্প্রতি পাইলস, ফিসার এবং ফিস্টুলার মতো সমস্যার জন্য কিছু ঐতিহ্যবাহী প্রতিকার শেয়ার করেছেন, যা দীর্ঘদিন ধরে গ্রামে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। তাঁর মতে, এই প্রতিকারগুলি অনেক লোকের জন্য উপশম প্রদান করে, যদিও যেকোনো অসুস্থতার জন্য ডাক্তারের পরামর্শ অপরিহার্য।

বাবা রামদেব প্রথমে নাগদন নামক একটি উদ্ভিদের কথা উল্লেখ করেছিলেন। তাঁর মতে, নাগদন এমন একটি ভেষজ যা ভারতের বেশিরভাগ অংশে সহজেই পাওয়া যায়।

তিনি ব্যাখ্যা করেছিলেন যে যখন এই গাছের পাতা ভেঙে ফেলা হয়, তখন একটি দুধের রস বের হয়। রামদেবের মতে, প্রতিদিন সকাল এবং সন্ধ্যায় তিনটি পাতা খেলে পাইলস থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

বাবা রামদেব আরেকটি ঐতিহ্যবাহী প্রতিকারের কথা উল্লেখ করে বলেন, যদি এক কাপ ঠান্ডা দুধে সামান্য লেবু ছেঁকে খাওয়া হয়, তাহলে এটি পাইলস থেকেও মুক্তি পেতে পারে।

প্রাচীনকালে অনেকেই এই পদ্ধতিটি ব্যবহার করতেন এবং বাবা রামদেব বলেছিলেন যে এটি আজও কার্যকর।

বাবা রামদেব জনপ্রিয় আয়ুর্বেদিক ওষুধ ত্রিফলা এবং অভয়রিষ্টের কথাও উল্লেখ করেছেন। তিনি বিশ্বাস করেন যে এগুলো সেবন হজমশক্তি উন্নত করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে, যা অর্শ রোগ দূর করতে সাহায্য করতে পারে।

তিনি আরও ব্যাখ্যা করেন যে, অ্যাসোটি নামক একটি ভেষজকে পিষে, জলপাই তেল বা অ্যালোভেরা জেলের সঙ্গে মিশিয়ে আক্রান্ত স্থানে লাগালেও উপশম পাওয়া যায়। তিনি বলেন, এই পদ্ধতি প্রাচীনকাল থেকেই ব্যবহৃত হয়ে আসছে।

বাবা রামদেব এই প্রতিকারগুলিকে উপকারী বলে দাবি করেন, কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে অর্শ, ফিসার এবং ফিস্টুলা গুরুতর সমস্যায় পরিণত হতে পারে। অতএব, কোনও ঘরোয়া প্রতিকার চেষ্টা করার আগে সর্বদা ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করা ভাল।