তাল খুব পরিচিত একটা ফল। তবে এটি সারা বছর পাওয়া যায় না। মূলত শ্রাবণ- ভাদ্র মাসেই নতুন পাকা তাল বাজারে পাওয়া যায়।
ভাদ্র মাসকে বলা হয় তাল খাওয়ার মরসুম। তালের ফল ও বীজ দুইই বাঙালির খাদ্য। পাক তাল থেকে স্বুসাদু নানা পদ তৈরি করা যায়।
তালের ঘন নির্যাস থেকে তাল ফুলুরি তৈরি হয়। পাকা তালের তৈরি রুটি, লুচি, বড়া, তালসত্ব, পায়েস, ক্ষীর বেশ জনপ্রিয়। তালের বীজ, তালশাঁস নামে পরিচিত।
তাল গাছের কাণ্ড থেকেও রস সংগ্রহ হয়। সেই রস থেকে গুড়, মিছরি, তাড়ি ইত্যাদি তৈরি হয়। তবে তাল কেনার সময় নরম তাল কেনা উচিত এবং পরিমিত খাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। কারণ বেশি পাকা তাল হজম করতে সমস্যা হয়। জানুন তালের উপকারিতা কী কী।
কোষ্ঠকাঠিন্য ও অন্ত্রের রোগ ভাল করতে তাল ভাল ভূমিকা রাখে।
তালে রয়েছে ভিটামিন এ, বি ও সি, জিংক, পটাসিয়াম, আয়রন ও ক্যালসিয়াম সহ আরও অনেক খনিজ উপাদান।
তাল অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ। ফলে এটি ক্যানসার প্রতিরোধে সক্ষম। এছাড়াও স্মৃতিশক্তি ভাল রাখতে সাহায্য করে।
তাল মজুত ভিটামিন বি, নানা রোগ প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
কাঁচা তালও অত্যন্ত পুষ্টিগুণ সম্পন্ন। এতে ভিটামিন এ, সি, বি, কপার, আয়রন, পটাশিয়াম, ফসফরাস, জিংক, ফাইবার, ক্যালসিয়াম ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট যৌগ রয়েছে।
এই ফলে প্রচুর ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস আছে, যা দাঁত ও হাড়ের ক্ষয় প্রতিরোধে সহায়ক।
গা বমিভাব দূর করতে পাকা তাল কার্যকরী। যদি দীর্ঘদিনের কাশিতে ভোগেন, তাহলে তাল খেয়ে উপকার পাবেন।