6-6-6 রুটিনঅনেকের ওজনই স্বাভাবিকের থেকে খুব বেশি। তাই তাঁরা একাধিক বিপদ পড়েন। তাঁদের ঘিরে ধরে ডায়াবিটিস, কোলেস্টেরল, হাই প্রেশার থেকে শুরু করে বহু জটিল সমস্যা। তাই অনেকেই ওজন কমাতে চান। আর সেক্ষেত্রে দারুণ হাতিয়ার হতে পারে হাঁটা। তবে যেমন-তেমনভাবে হাঁটলে খুব বেশি লাভ পাবেন না। তার বদলে ৬-৬-৬ রুটিন মেনে হাঁটতে হবে। এই রুটিন মেনে চললেই উপকার মিলবে।
এখন প্রশ্ন হল, কী এই রুটিন? কেন এই রুটিন নিয়ে এত কথা হচ্ছে? আর সেই উত্তরটাই রইল নিবন্ধটিতে। তাই দ্রুত প্রতিবেদনটি পড়ে ফেলুন।
৬-৬-৬ হাঁটার রুটিন কী?
এক্ষেত্রে ৬০ মিনিট একটু জোর গতিতে ব্রিস্ক ওয়াক করুন। তার আগে ৬ মিনিট ধরে করুন ওয়ার্মআপ। আর হাঁটার পর ৬ মিনিট ধরে করুন কুল ডাউন। আর এই হাঁটা শুরু করতে হবে সকাল ৬টা বা সন্ধে ৬টায়।
তবে এর আরও একটা ধারণা রয়েছে। একদল মনে করেন, সপ্তাহে ৬ দিন ৬ হাজার স্টেপ করে হাঁটাকেই বলা হয় ৬-৬-৬ ওয়াকিং রুটিন।
কীভাবে ওজন কমায়?
এই নিয়ম মেনে হাঁটলে অনায়াসে ওজন কমানো যায়। প্রথমত, এর ফলে প্রচুর পরিমাণে ক্যালোরি লস হয়। পাশাপাশি ফ্যাট পুড়ে যায়। সেই কারণেই কমে যায় ওজন।
তবে শুধু ওজন কমানোই নয়, এই নিয়ম মেনে হাঁটলে আপনি অনায়াসে সুগার, প্রেশার এবং কোলেস্টেরল কমাতে পারবেন। এমনকী মনের উপরও এভাবে হাঁটার ভাল প্রভাব রয়েছে। তাই নিয়মিত হাঁটা শুরু করে দিন। তাহলেই দেখবেন সুস্থ থাকতে পারবেন। এমনকী ওজনও কমবে।
শুধু হেঁটে লাভ হবে না
বিশেষজ্ঞদের মত, শুধু হেঁটে লাভ হবে না। পাশাপাশি আপনাকে ডায়েট করতে হবে। খাওয়াদাওয়ায় আনতে হবে বদল। তাহলেই ওজন কমাতে পারবেন।
এক্ষেত্রে ডায়েট থেকে বাদ দিয়ে দিন, ফাস্ট ফুড ও প্রসেসড ফুড। এমনকী বাড়িতেও খাওয়া যাবে না কোনও ভাজা খাবার। সেই সঙ্গে মাটন ও ঘি থেকেও দূরে থাকুন। তার বদলে শাক, সবজি এবং ফল বেশি পরিমাণে খান। পাশাপাশি আটা, ওটস এবং ডালিয়া খাওয়া শুরু করুন। এগুলিতে রয়েছে ফাইবারের ভাণ্ডার। তাই এগুলি খেলে পেট অনেকক্ষণ ভরা থাকবে। যার ফলে খিদে পাবে কম। আপনি সুস্থ থাকতে পারবেন।
তাই ডায়েটে এই বদলটা আনা মাস্ট। আশা করছি, তাহলেই আপনার শরীরে মেদ কমে যাবে দ্রুত। আপনি সুস্থ থাকতে পারবেন।
বিদ্র: এই প্রতিবেদটি সচেতনতার উদ্দেশ্য নিয়ে লেখা হয়েছে। কোনও ওষুধ খাওয়ার আগে অবশ্যই নিজের চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে নিন।