ভিটামিন ডি বেশ শীত পড়েছে। এই সময় রোদের তেজও কম। তাই অনেকেই শরীরে সূর্য রশ্মি লাগিয়ে একটু ভিটামিন ডি পেতে চাইছেন। কিন্তু প্রশ্ন হল, দিনের ঠিক কোন সময় রোদ পোহালে পাবেন ভিটামিন ডি? আর সেই উত্তরটা bangla.aajtak.in-কে জানালেন বিশিষ্ট ঢাকুরিয়ার মণিপাল হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের প্রধান ডাঃ অভিজিৎ ভট্টাচার্য।
কোন সময় রোদে দাঁড়ালে বেশি উপকার?
ডাঃ ভট্টাচার্য বলেন, 'রোদে যদি দাঁড়াতেই হয়, তাহলে সকাল ৯টা থেকে ১১টার মধ্যে দাঁড়ান। এছাড়া কেউ চাইলে বিকেল ৩টের পরও দাঁড়াতে পারেন রোদে। তবে বেশি রোদে দাঁড়ানো ঠিক হবে না। তাতে ত্বকের ক্ষতি হতে পারে। তাই দুপুরের দিকটা রোদে না দাঁড়ানোই ভাল। তার চেয়ে সকালে বা বিকেলে রোদ পোহান। তাতে সমস্যা নেই।'
রোদ পোহানোর নিয়ম
'রোদ পোহানোর নির্দিষ্ট নিয়ম রয়েছে। এক্ষেত্রে হাত, পা খোলা রাখা সবথেকে বুদ্ধিমানের কাজ। এছাড়া মুখটাও খোলা রাখতে হবে। তাহলেই রোদ পুড়িয়ে লাভ হবে। আপনার শরীর ভিটামিন ডি তৈরি করতে পারবে। পাশাপাশি অন্যান্য একাধিক উপকারও পাবেন।'
কারা সাবধান?
মোটের উপর সকলেই রোদ পোহাতে পারেন। তাতে সমস্যার কিছু নেই। কিন্তু যাদের ত্বক বেশি সংবেদনশীল বা যাদের বয়স অনেকটাই বেশি, তারা রোদে দাঁড়ানোর আগে একবার ডাক্তারের পরামর্শ নিন। তিনিই আপনাকে সঠিক পরামর্শ দিতে পারবেন বলে মনে করেন ডাঃ ভট্টাচার্য।
রোদে দাঁড়ানোর অনেক লাভ
এই চিকিৎসক জানালেন, সূর্য রশ্মি ত্বকে এসে পড়লে শরীর ভিটামিন ডি তৈরি করে। এই ভিটামিন হাড়ের মধ্যে ক্যালসিয়ামকে ঢোকাতে করে সাহায্য। যার ফলে হাড়ের ক্ষয় রোধ করা সম্ভব হয়। এছাড়া ভিটামিন ডি শরীরের একাধিক প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত। তাই রোদে দাঁড়ানো হল মাস্ট।
এছাড়া শীতকালে সূর্য তাড়াতাড়ি অস্ত যায়। যার ফলে অনেকেরই মন খারাপ থাকে। আর এই সমস্যা সমাধানেও সাহায্য করতে পারে রোদে দাঁড়ানো।
আবার আপনি যদি নিয়মিত রোদে দাঁড়ান, তাহলে সার্কাডিয়ান রিদম ঠিক হয়ে যাবে। যার ফলে ঘুম হবে ভাল। বহু সমস্যা দূরে থাকবে বলে মনে করছেন ডাঃ ভট্টাচার্য। তাই আজ থেকেই নিয়ম করে রোদে দাঁড়ানো শুরু করে দিন।
বিদ্র: এই প্রতিবেদটি সচেতনতার উদ্দেশ্য নিয়ে লেখা হয়েছে। কোনও ওষুধ খাওয়ার আগে অবশ্যই নিজের চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে নিন।