
দীপাবলির পর থেকে বায়ু দূষণের মাত্রা উদ্বেগজনকভাবে বেড়েছে। বাতাসে মিশছে বিষাক্ত কণা। এর জেরে বাতাসের মান (AQI) ‘গুরুতর’ পর্যায়ে পৌঁছেছে। হাসপাতালগুলিতে কাশি, হাঁপানি, ও শ্বাসকষ্টজনিত রোগীর সংখ্যা ক্রমাগত বাড়ছে।
সকালের হাঁটা এখন বিপজ্জনক
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই সময়ে সকাল বা সন্ধের দিকে হাঁটা অত্যন্ত বিপজ্জনক হতে পারে। কারণ, এই সময় বাতাস স্থির থাকে এবং দূষণের সূক্ষ্ম কণাগুলি (PM2.5 ও PM10) মাটির কাছে জমে থাকে। ফলে যারা সকালে হাঁটতে যান, তারা তাজা বাতাস নয়, বরং বিষাক্ত বায়ু গ্রহণ করছেন। এই কণাগুলি ফুসফুসে প্রবেশ করে রক্তপ্রবাহে মিশে শ্বাসকষ্ট, বুকে টান, এমনকি হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়।
রাতে হাঁটাও নিরাপদ নয়
রাতে তাপমাত্রা কমে যাওয়ার কারণে দূষণ আরও ঘন হয়ে মাটির কাছাকাছি জমা হয়। এর ফলে সন্ধ্যার পর হাঁটাও সমান বিপজ্জনক। ডাক্তাররা জানাচ্ছেন, দূষণের ঘনত্ব রাতের দিকে আরও বাড়ে, ফলে হাঁটার পরিবর্তে বাড়িতেই শারীরিক অনুশীলন করা নিরাপদ।
কখন হাঁটা নিরাপদ
বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, সূর্য ওঠার পর, অর্থাৎ সকাল ৮টা থেকে ৯টার মধ্যে, অল্প সময়ের জন্য বাইরে হাঁটা তুলনামূলকভাবে নিরাপদ। সূর্যের আলো এবং হালকা বাতাস দূষণকারী কণাগুলিকে ছড়িয়ে দেয়, ফলে বাতাসের মান কিছুটা উন্নত হয়। তবুও, এই সময়েও বাইরে বেরোলে অবশ্যই উচ্চমানের N95 বা FFP2 মাস্ক ব্যবহার করা উচিত।
ঘরোয়া বিকল্প
যারা নিয়মিত ব্যায়াম করেন, তারা চাইলে বাড়িতেই যোগব্যায়াম, প্রণায়াম বা হালকা কার্ডিও অনুশীলন করতে পারেন। পাশাপাশি, সকাল ও সন্ধ্যায় জানালা বন্ধ রাখা এবং এয়ার পিউরিফায়ার ব্যবহার করার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা।
সতর্কতার বার্তা
পরিবারে কারও গলা ব্যথা, কাশি, বুকে টান বা অতিরিক্ত ক্লান্তির লক্ষণ দেখা দিলে অবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। বিশেষ করে শিশু, বয়স্ক ও হৃদরোগী ব্যক্তিদের এই সময়ে বাইরে যাওয়া সম্পূর্ণ এড়িয়ে চলা প্রয়োজন।