অনেকেই সারাক্ষণ ক্লান্ত বোধ করেন। খালিই আলস্য। এটি শুধুমাত্র স্বাস্থ্যেই নয়, কাজেও নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। এর পিছনে অনেক কারণ থাকতে পারে। শারীরিক পরিশ্রমের ক্লান্তি, মানসিক চাপ, কোনও রোগ এবং জীবনযাত্রা, নানা কারণে আলস্য হতে পারে। অনেক সময়ে কিছু খাবারের কারণেও সারাক্ষণ ক্লান্তি হতে পারে।
প্রক্রিয়াজাত এবং ফাস্ট ফুড- প্রসেসড এবং ফাস্ট ফুডে অনেক বেশি পরিমাণে অস্বাস্থ্যকর ফ্যাট, কার্বোহাইড্রেট এবং চিনি থাকে। এই জাতীয় খাবারের প্রভাবে রক্তে চিনির মাত্রা দ্রুত বৃদ্ধি পায়। আবার প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই হঠাৎ করে কমে যায়। এই কারণে হঠাৎ করে এনার্জি কমে যায়। আর সেই কারণেই ক্লান্তি লাগে।
বেশি চিনি যুক্ত খাবার- বেশি চিনিযুক্ত খাবার খেলে তা সাময়িকভাবে শরীরে শক্তির মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। তবে সঙ্গে সঙ্গে তা কমিয়েও দেয়। এই খাবারগুলি খেলে শরীরে রক্তে শর্করার মাত্রা দ্রুত বৃদ্ধি পায়। তারপরে আবার দ্রুত হারে হ্রাস পায়। সেই কারণে ক্লান্তি হয়।
বেশি ফ্যাটযুক্ত খাবার- ফ্যাট আমাদের শরীরের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু বেশি পরিমাণে ফ্যাট যুক্ত খাবার খেলে ঘুম পাবে এবং ক্লান্তি বোধ হবে। অতিরিক্ত ফ্যাট যুক্ত খাবার হজম করতে প্রয়োজনের চেয়ে বেশি সময় লাগে। এগুলি হজম করতে শরীরকে খুব পরিশ্রম করতে হয়। সেই কারণে কিছু না করলেও ক্লান্তি বোধ হবে।
রিফাইন্ড শস্য- ভাত, পাস্তা, সাদা ময়দার রুটি ইত্যাদিতে খুব কম পরিমাণে পুষ্টি, ফাইবার এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। এগুলি খেলে আপনার সুগার লেভেল দ্রুত বাড়ে এবং দ্রুত কমতেও শুরু করে। এর ফলে আপনার ক্লান্তি বোধ হবে।
এনার্জি ড্রিংকস- এনার্জি ড্রিংকসে অতিরিক্ত পরিমাণে ক্যাফেইন থাকে। এটি সাময়িক শক্তি দেয়। তবে দীর্ঘ সময় ধরে এগুলি খেলে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায়। এই কারণে সারাক্ষণ ক্লান্তি ভাব লাগে।
লো-আয়রন খাবার- আমাদের শরীরের সমস্ত অংশে অক্সিজেন পৌঁছে দেওয়ার জন্য আয়রন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয়। শরীরে আয়রনের ঘাটতি হলে রক্তাল্পতা, ক্লান্তি ও দুর্বলতা হতে পারে। প্রসেসড মাংস, ফাস্ট ফুড, পরিশোধিত শস্যে আয়রনের পরিমাণ খুবই কম।