সেদ্ধ ডিম খেতে অনেকে ভালোবাসেন। কেউ কেউ আবার অমলেট। কোনটা বেশি স্বাস্থ্যকর তা নিয়ে তর্কাতর্কি চলতেই থাকে। অনেকে মনে করেন, সকালে ডিম সেদ্ধ খাওয়া শরীরের জন্য ভালো আবার কারও মতে অমলেট। তবে এই ব্যাপারে সকলে একমত যে, ব্রেকফাস্টে ডিম খাওয়া ভালো।
চিকিৎসকদের মতে, সেদ্ধ ডিম খাওয়া সবচেয়ে কম ঝঞ্ঝাটের। এতে তেল বা মাখন ব্যবহার করা হয় না। ক্যালোরি বেশি থাকে না। প্রতি ডিমে প্রায় ৭০ শতাংশ ক্যালোরি থাকে। প্রোটিন, ভিটামিন ডি, ভিটামিন বি১২ এবং সেলেনিয়ামের মতো খনিজ পদার্থে সমৃদ্ধ থাকে ডিম। যারা ওজন কমাতে এবং কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করতে চান তাদের জন্য সেদ্ধ ডিম ভালো অপশন।
সেদ্ধ ডিমের উপকারিতা :
সেদ্ধ ডিমে ক্যালোরি এবং চর্বি খুব কম থাকে। এঠি হজম করা সহজ এবং হালকা। ওজন নিয়ন্ত্রণ এবং পেশী গঠনে সহায়তা করে সেদ্ধ ডিম।
অমলেটের উপকারিতা :
অমলেট তৈরি করাও সহজ। কম তেলেও তৈরি করা যায়। অমলেটেও প্রোটিন এবং ভিটামিন থাকে সেদ্ধ ডিমের মতোই। সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য হল, এতে শাকসবজি যোগ করে আরও পুষ্টিকর করা যায়। পালং শাক, টমেটো, পেঁয়াজ, মাশরুম বা ক্যাপসিকাম যোগ করলে এতে ফাইবার এবং মাইক্রোনিউট্রিয়েন্টও যোগ হয়।
অমলেট খাওয়ার উপকারিতা-
অমলেটে শাকসবজি এবং ভেষজ যোগ করে কাস্টমাইজ করা যায়। অমলেট খেলে দীর্ঘ সময় পেট ভরা অনুভূতি হয়। এর স্বাদ এবং গঠনে আরও বৈচিত্র্য রয়েছে। শুধুমাত্র ডিমের সাদা অংশ যোগ করে এটি হালকা করা যেতে পারে।
তাহলে কোনটি বেছে নেবেন, সেদ্ধ ডিম না অমলেট?
আপনি যদি অতিরিক্ত চর্বি ছাড়াই কম ক্যালোরি এবং উচ্চ প্রোটিনযুক্ত খাবার চান, তাহলে সেদ্ধ ডিমই সেরা অপশন। অন্যদিকে, যদি একটি সুস্বাদু কিছু খেতে চান তাহলে অমলেট আপনার প্লেটে থাকা উচিত। দুটোই স্বাস্থ্যকর, শুধু খেয়াল রাখবেন অমলেট তৈরির সময় অতিরিক্ত তেল, মাখন বা পনির যেন না থাকে।
এপ্রসঙ্গে বলা ভালো, ব্রেকফাস্টে ডিম রাখলেই চলবে। ওজন কমানো এবং স্বাস্থ্য সচেতন ব্যক্তিদের জন্য সেদ্ধ ডিম উপযুক্ত। অন্যদিকে যারা স্বাদ, পুষ্টি এবং পেট ভরা খাবারকে গুরুত্ব দেন তাদের জন্য অমলেট ভালো। তাই বলা যেতে পারে যে, সকালে সেদ্ধ ডিম খান বা অমলেট, উভয়ই আপনাকে প্রোটিন এবং শক্তি দেবে, শুধু রান্নার ধরণ মাথায় রাখুন।