শীতে বাজার ছেয়ে যায় রকমারি সবজিতে। যার মধ্যে অন্যতম ফুলকপি ও বাঁধাকপি। এই দুই শীতকালীন সবজির মধ্যে একেক জনের একেক রকম পছন্দ,এটাই স্বাভাবিক। তবে দুই সবজিই পুষ্টি এবং স্বাদে পরিপূর্ণ। শীত শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ফুলকপি ও বাঁধাকপির চাহিদা তুঙ্গে থাকে। এগুলি দিয়ে রকমারি স্বসাদু পদও রান্না করা যায়। জানুন কোন সবজির উপকারিতা কতটা।
পুষ্টিগত গুণমান
ফুলকপি ও বাঁধাকপি উভয়ই ভিটামিন এবং ফোলেট দ্বারা সমৃদ্ধ পুষ্টিকর সবজি। ফুলকপির মধ্যে থাকে ভিটামিন সি, কে, এবং বি৬। অপরদিকে বাঁধাকপি ভিটামিন সি ও কে দ্বারা পরিপূর্ণ থাকে। এই দুই সবজিতেই ফাইবার থাকে যা, আসলে হজমের জন্য খুবই উপযোগী।
ক্যালোরির মাত্রা
যারা ক্যালোরি মেপে খেতে পছন্দ করেন, তাদের জন্য ফুলকপি ও বাঁধাকপি ভাল। এই দুই সবজি ওজন নিয়ন্ত্রণেও সহায়তা করে। ফুলকপিতে বাঁধাকপির তুলনায় কিছুটা কম পরিমাণে ক্যালোরি থাকে। যা, স্বাস্থ্য সচেতন মানুষদের জন্য ভাল।
ক্যান্সার প্রতিরোধ ক্ষমতা
ক্যান্সারের মতো মারণরোগ প্রতিরোধের ক্ষেত্রে এই দুই সবজির ভূমিকা খুব গুরুত্বপূর্ণ। এই দুই সবজিতেই সালফোরাফেন পাওয়া যায়,যা ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধিতে বাধা দেয়। এছাড়াও, নিয়মিত ফুলকপি,বাঁধাকপি খেলে ক্যান্সারের প্রবণতা অনেকটাই কমে আসে।
হার্টের সমস্যা
অনেকেই চান কার্ডিওভাসকুলার স্বাস্থ্য বজায় রাখত। এক্ষেত্রে তাদের ফুলকপি ও বাঁধাকপি নিয়মিত খাওয়া উচিত। ফুলকপির মধ্যে থাকা পটাশিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে, এছাড়াও বাঁধাকপির মধ্যে মজুত ফাইবার ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান হার্টকে বিপদমুক্ত রাখে।
অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ
ফুলকপি ও বাঁধাকপির মধ্যে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের বিশেষ উপাদান রয়েছে। ফুলকপিতে রয়েছে সালফোরোফেন এবং বাঁধাকপিতে রয়েছে অ্যান্থোসায়ানিন। এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলি আমাদের বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা থেকে রক্ষা করতে সহায়তা করে।