Pig Liver Transplant: শূকরের লিভার মানুষের পেটে, বেঁচেও রইলেন, যত কাণ্ড চিনে

চিকিৎসা বিজ্ঞানের বিরাট সাফল্য। এ বার মানুষের শরীরে সাফল্যের সঙ্গে প্রতিস্থাপিত হল শূকরের লিভার। আর এই অসম্ভবকে সত্যি করে দেখালেন চিনের সার্জেনরা। তারা শূকরের লিভারকে জিন-এডিটেড (জিনস্তরে পরিবর্তন) করে এক মানুষের শরীরে প্রতিস্থাপন করেন। 

Advertisement
শূকরের লিভার মানুষের পেটে, বেঁচেও রইলেন, যত কাণ্ড চিনে
হাইলাইটস
  • চিকিৎসা বিজ্ঞানের বিরাট সাফল্য
  • মানুষের শরীরে সাফল্যের সঙ্গে প্রতিস্থাপিত হল শূকরের লিভার
  • এই অসম্ভবকে সত্যি করে দেখালেন চিনের সার্জেনরা

চিকিৎসা বিজ্ঞানের বিরাট সাফল্য। এ বার মানুষের শরীরে সাফল্যের সঙ্গে প্রতিস্থাপিত হল শূকরের লিভার। আর এই অসম্ভবকে সত্যি করে দেখালেন চিনের সার্জেনরা। তারা শূকরের লিভারকে জিন-এডিটেড (জিনস্তরে পরিবর্তন) করে এক মানুষের শরীরে প্রতিস্থাপন করেন। 

কার শরীরে প্রতিস্থাপিত হয়?

৭১ বছর বয়সী এই রোগীর সার্জারি করা হয় ২০২৪ সালের ১৭ মে। তাঁর সার্জারি হয় আনহুই মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে। সেখানে রোগীর শরীরে শূকরের লিভার প্রতিস্থাপন করা হয়। অপরেশনের পর রোগী ১৭১ দিন সুস্থভাবে বেঁচে থাকেন। আর এটাই জেনোট্রান্সপ্ল্যান্টেশনের সাফল্য বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

এক্ষেত্রে জেনোট্রান্সপ্ল্যান্টেশন হল এমন একটি প্রতিস্থাপন প্রক্রিয়া, যেখানে এক প্রজাতির জীবন্ত কোষ, টিস্যু বা অঙ্গ অন্য প্রজাতির শরীরে ইমপ্ল্যান্ট করা হয়।

সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে জার্নালে

সম্প্রতি জার্নাল অব হেপাটোলজিতে প্রকাশিত হয় এই সাফল্যের কথা। সেখানে জানান হয়, রোগীর শরীরে অক্সলারি অঙ্গ হিসাবে শূকরের লিভার প্রতিস্থাপিত হয়েছে। সহজে বললে, এক্ষেত্রে রোগীর লিভারকে সম্পূর্ণ প্রতিস্থাপিত করা হয়নি। বরং শূকরের লিভারের মাধ্যমে রোগীর যকৃতকে সাপোর্ট দেওয়া হয়েছে। যাতে সেটি ঠিকমতো কাজ করতে পারে।

আসলে রোগীর লিভারের রাইট লোবে একটি জটিল টিউমারে হয়েছিল। যার ফলে লিভারের বাকি অংশ ঠিক মতো কাজ করছিল না। আর এই কারণেই তাঁর শরীরে শূকরের লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্ট করা হয়। অপারেশনের পর প্রথম ৩১ দিনের শূকরের লিভার দারুণ কাজ করে। পিত্ত এবং রক্ত জমাট বাঁধার দরকারি উপাদান তৈরি করে। শরীর এটিকে রিজেক্ট করেনি। আর এটাই বিরাট সাফল্য।

তবে অপারেশনের ৩৮ দিন বাদে শুরু হয়ে যায় সমস্যা। রক্ত জমাট বাঁধতে শুরু করে দেয় লিভারের ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র রক্তনালীর ভিতরে। আর ১৭১ দিনের মাথায় রোগী মারা যান।

যদিও এই নিয়ে ভাবতে নারাজ বিজ্ঞানীরা। তাঁদের মতে, এটা একটা সাফল্য। এটা প্রমাণ করল যে জেনেটিক্যালি এডিট করা শূকরের লিভারও মানুষের শরীরে কাজ করতে পারে। এই নিয়ে আরও গবেষণা চাই বলে মনে করেন তারা।

Advertisement

তাই এখন দেখার পরিস্থিতি ঠিক কোন দিকে যায়। আগামিদিনে কী ভাবে এগিয়ে যায় বিজ্ঞান। যদিও বিজ্ঞানীরা আশাবাদী যে এই ধরনের প্রয়াস সফল হলে অঙ্গ প্রতিস্থাপনে বিরাট সাফল্য আসবে। মিটে যাবে হাজার জটিল সমস্যা।

POST A COMMENT
Advertisement