খুশকি কমানোর উপায়আপাতদৃ্ষ্টিতে খুশকি একটা ছোট সমস্যা হলেও, নানা জায়গায় এই খুশকির কারণে অনেককেই অপ্রস্তুত হতে হয়। তাছাড়া, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে খুশকি বেড়ে গেলে, পরিস্থিতি আরও বিগড়োতে পারে। খুশকির অর্থ হল মাথার চামড়া সাদা ও খসখসে হয়ে উঠতে শুরু করা। এই খুশকি কাঁধের উপর এসে পড়লে তা দৃষ্টিকটুও বটে।
বাজারে অনেক শ্যাম্পু রয়েছে যেগুলি খুশকি দূর করার দাবি করে। কিন্তু অনেকেই রয়েছেন, যারা রাসায়নিক পণ্য ব্যবহার করতে চান না। তবে তাঁদের জন্যও উপায় রয়েছে। কিছু প্রাকৃতিক এবং ঘরোয়া প্রতিকারের মাধ্যমে ধীরে ধীরে খুশকি নিয়ন্ত্রণ করা যেতে পারে। সেগুলি কী কী, জেনে নেওয়া যাক।
চা গাছের তেল
খুশকির সাধারণ কারণ হল মাথার ত্বকে ছত্রাকের বৃদ্ধি। টি ট্রি অয়েল আসলে ছত্রাক-বিরোধী। তবে এটি সরাসরি মাথার ত্বকে প্রয়োগ করা উচিত নয়। নারকেল তেল বা জলপাই তেলের মতো ক্যারিয়ার তেলে ২-৩ ফোঁটা মিশিয়ে তবেই এটি মাথায় লাগানো উচিত।
এই মিশ্রণ তেল ২০-৩০ মিনিটের জন্য মাথায় রেখে হালকা শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। বিশেষজ্ঞরা বলেন, সপ্তাহে ২-৩ বার ব্যবহার এই তেল ব্যবহার করা উচিত।
লেবুর রস
মাথার ত্বকের pH ব্যাহত হলে খুশকি বৃদ্ধি পায়। লেবুতে থাকা সাইট্রিক অ্যাসিড মাথার ত্বকের pH ভারসাম্য বজায় রাখে এবং ছত্রাকের বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করে। এক চা চামচ লেবুর রস নারকেল তেল বা গোলাপ জলের সাথে মিশিয়ে ১০-১৫ মিনিটের জন্য মাথার তালুতে লাগাতে হবে। এই মিশ্রণ লাগানোর পর ১০ মিনিটের মধ্যেই হালকা শ্যাম্পু দিয়ে মাথা ধুয়ে ফেলতে হবে। নিয়মিত ব্যবহারে খুশকির সাদা আঁশ কমে যায় এবং মাথার ত্বক হালকা এবং সতেজ বোধ করে। যদিও মাথায় কোনও কাটা থাকলে লেবু ব্যবহার করা উচিত নয়।
নারকেল তেল
খুশকি শুধু ছত্রাকের কারণে হয় না, বরং মাথার ত্বকের শুষ্কতার কারণেও হয়। নারকেল তেল একটি প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার যা মাথার ত্বককে হাইড্রেট করে। ফলে খুশকি কমে যায়। রাতে ঘুমানোর আগে নারকেল তেল দিয়ে ভালো করে ম্যাসাজ করে সকালে শ্যাম্পু দিয়ে মাথা ধুয়ে ফেলতে হবে।
দই ব্যবহার করুন
দইয়ের প্রাকৃতিক প্রোবায়োটিক মাথার ত্বকের মাইক্রোবায়োমের ভারসাম্য বজায় রাখে। ভালো ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা বৃদ্ধি হয়। মাথার ত্বকে ২-৩ টেবিল চামচ দই লাগিয়ে ২০ মিনিট রেখে দিয়ে, তারপর ঠান্ডা জল দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। অনেকে দইয়ের সঙ্গে মধুও যোগ করে। এটি সপ্তাহে একবার লাগানোই যথেষ্ট। এরফলে একদিকে যেমন খুশকি কমবে, তেমনই চুলের গঠনও ভালো হয়।