খেজুর স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। আয়রন, খনিজ, ক্যালসিয়াম, অ্যামাইনো অ্যাসিড, ফসফরাস এবং ভিটামিনের মতো একাধিক পুষ্টিগুণ থাকার ফলে, এই ফল শরীর সুস্থ রাখতে জাদুকরী কাজ করে। খেজুর ফোলেটের একটি খুব ভাল উৎস হিসেবে বিবেচিত যা সকলের জন্য অপরিহার্য বলে মনে করা হয়। তবে এটি গর্ভবতী মহিলাদের জন্য আরও গুরুত্বপূর্ণ।
গর্ভাবস্থায় মহিলাদের প্রায়শই ফোলেট আছে এরকম খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। তাই যখন মহিলারা গর্ভাবস্থায় খেজুর খান, তখন তারা দুর্দান্ত পুষ্টি পান। যদি আপনার ডায়াবেটিস থাকে, তাহলে খেজুর খাওয়ার সময় সতর্ক থাকা উচিত। কারণ এতে প্রচুর পরিমাণে শর্করা থাকে। এর অনেক উপকারিতা রয়েছে।
পুষ্টিতে সমৃদ্ধ
খেজুরে ফাইবার, পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, আয়রন এবং ফোলেট, ভিটামিন কে এবং ভিটামিন বি৬ -এর মতো প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান রয়েছে। এই পুষ্টি উপাদানগুলি শিশুর সুস্থ বিকাশ এবং মায়ের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
প্রাকৃতিক শক্তির উৎস
খেজুর কার্বোহাইড্রেটের একটি প্রাকৃতিক উৎস যা গর্ভাবস্থায় তাৎক্ষণিক শক্তি সরবরাহ করতে পারে, ক্লান্তির বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারে এবং আপনাকে সক্রিয় রাখতে পারে।
হজমে সহায়ক
খেজুরে উচ্চ ফাইবারের পরিমাণ কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করতে সাহায্য করতে পারে, যা গর্ভাবস্থায় একটি সাধারণ সমস্যা। ফাইবার নিয়মিত মলত্যাগে সাহায্য করতে এবং হজমের সহায়ক। কিছু গবেষণা অনুসারে, গর্ভাবস্থার শেষ পর্যায়ে, বিশেষ করে শেষ কয়েক সপ্তাহে খেজুর খেলে জরায়ুর প্রসারণ হয়।
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ
খেজুরে পটাশিয়াম থাকে, যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে বলে জানা যায়। গর্ভবতী মহিলাদের রক্তচাপের ওঠানামা করে। তাই তাদের জন্য এটি উপকারী হতে পারে।
আয়রনে সমৃদ্ধ
গর্ভাবস্থায় আয়রনের ঘাটতি একটি সাধারণ উদ্বেগের বিষয়। খেজুর আয়রনের একটি ভালো উৎস, যা লোহিত রক্তকণিকা উৎপাদন এবং রক্তাল্পতা প্রতিরোধের জন্য অপরিহার্য।
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট
খেজুরে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে ফ্ল্যাভোনয়েড এবং ফেনোলিক যৌগ যা কোষকে ফ্রি র্যাডিক্যালের কারণে ক্ষতি থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে।