ডেঙ্গির প্রকোপ বাড়ছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, কলকাতায় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ৫০৯। সাত এলাকাকে 'হাই রিস্ক' জোন হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, ডেঙ্গির মূল বাহক হল এডিস ইজিপ্টাই মশা। এই মশার কামড়ে শরীরে ডেঙ্গি ভাইরাস প্রবেশ করে। অল্প সময়ের মধ্যেই জ্বরের লক্ষণ দেখা দেয়। তাই সচেতন হওয়াই এখন বাঁচার একমাত্র উপায়।
এই মশা কীভাবে চিনবেন?
এডিস ইজিপ্টাই মশাকে চিনতে পারলেই বিষয়টি আরও সহজ হয়। সাধারণত এই মশা কালো রঙের হয় এবং এর গায়ে সাদা ডোরা কাটা দাগ দেখা যায়। বিশেষ করে পা এবং শরীরে সাদা সাদা দাগ থাকে। সাইজে একটু ছোট হয়।ফলে এটি সহজেই আলাদা করে বোঝা যায়। অন্য মশাদের মতো এরা রাতে নয়, বরং দিনে বেশি সক্রিয় থাকে। ভোরবেলা এবং বিকেলের দিকে এই মশা বেশি অ্যাকটিভ থাকে। তাই সতর্ক থাকা জরুরি।
ডেঙ্গি মশা সাধারণত পরিষ্কার জলে জন্মায়। বাড়ির কোণে জমে থাকা জল, ফুলদানি, ড্রাম, টব কিংবা এসি মেশিনের জলে এদের প্রজনন ঘটে। তাই বাড়ির ভেতর ও আশেপাশে কোথাও জল জমতে দেওয়া যাবে না। নিয়মিত পাত্র, ফুলদানি, টব পরিষ্কার করা, জলের জায়গা, চৌবাচ্চা ঢেকে রাখতে হবে। কোথাও যেন জল জমে না থাকে। ব্লিচিং ছড়িয়ে বা নর্দমায় কীটনাশক স্প্রে করে বিশেষ কিছু লাভ হবে না।
ডেঙ্গির প্রথম লক্ষণ হিসেবে মাথা যন্ত্রণা, চোখে ব্যথা, হাড়ে ব্যথা এবং হঠাৎ হাই ফিভার শুরু হয়। অনেক সময় শরীরে লাল লাল দাগও ফুটে ওঠে। এই লক্ষণ দেখা দিলেই দেরি না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশ অনুযায়ী, মশারি ব্যবহার করুন। ভোর বা সন্ধ্যায় শরীর ঢেকে রাখে এমন পোশাক পরুন। পারলে মসকুইটো ক্রিম মাখুন। দিনের বেলায়ও মশা থেকে বাঁচতে সতর্ক থাকা প্রয়োজন। ডেঙ্গি প্রতিরোধে জনসচেতনতা বাড়ানোই এখন একমাত্র উপায়।