কালীপুজো, দীপাবলি উপলক্ষে হয়েছে বিরাট পেটপুজো। ফাস্ট ফুড থেকে শুরু করে মিষ্টি, কিছুই বাদ ছিল না। আর এখনও ভাইফোঁটা পর্ব রয়েছে বাকি। সেখানেও অনেকেই ভালোমন্দ খাবার খাবেন। আর এই সব খেয়ে পিছু নিতে পারে ক্লান্তি। এমনকী শরীরটা ম্যাজম্যাজ করতে পারে।
তবে চিন্তা নেই, এই সমস্যার সহজ সমাধান রয়েছে হাতের মুঠোতেই। এক্ষেত্রে কয়েকটি নিয়ম মেনেই আপনি শরীরকে করতে পারবেন ডিটক্স। শুধু তাই নয়, আপনি সুস্থ থাকার পথেও এগিয়ে যাবেন। তাই আর দেরি না করে সেই সব পদ্ধতিগুলি সম্পর্কে জেনে নিন।
সকালে উঠে খান লেবু জল
শরীরকে সুস্থ রাখতে চাইলে সকালে উঠে খেতে হবে লেবু জল। এই পানীয়ের গুণেই সুস্থ থাকার কাজে এক ধাক্কায় অনেকটাই এগিয়ে যাবেন। আসলে এই পানীয়ে রয়েছে ভিটামিন সি। আর এই ভিটামিন দেহে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসাবে কাজ করে। তাই সকালে খেয়ে নিতেই পারেন লেবু জল।
মিষ্টির থেকে দূরে থাকুন
জানি ভাইফোঁটা রয়েছে। তবে চেষ্টা করুন মিষ্টি না খাওয়ার। কারণ, এই খাবারটি শরীরের বাজাতে পারে বারোটা। প্রদাহ বৃদ্ধি করতে পারে। টেনে আনতে পারে ক্লান্তি। তাই ভাইফোঁটায় মিষ্টি না খাওয়াই ভালো।
ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খান
দ্রুত সুস্থ হতে চাইলে ভালো পরিমাণে ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে। ডায়েটে রাখতে হবে শাক, সবজি এবং ফল। পাশাপাশি ওটস, ডালিয়া এবং আটার রুটি খান। এগুলিতে ভালো পরিমাণে ফাইবার রয়েছে। যার ফলে পেটের হাল ফিরবে। আপনি সুস্থ থাকার কাজে এগিয়ে যাবেন।
জল খান অনেকটা
শরীরকে ডিটক্স করার চেষ্টা করলে খেতে হবে জল। দিনে অন্ততপক্ষে ৩ লিটার জল হল মাস্ট। এর বেশিও খেতে পারেন। তবে এর কম খাওয়া চলবে না। আর একবারে না পারেন বারাবার অল্প অল্প করে জল খান। তাতেই সুস্থ থাকার কাজে এগিয়ে যাবেন।
এক্সারসাইজ করুন
ক্লান্তি দূর করতে গেলে এক্সারসাইজ হল মাস্ট। দিনে ৩০ মিনিট অন্তত এক্সারসাইজ করুন। এই সময়টা জিমে গিয়ে ঘাম ঝরান। অথবা বাড়িতেই ফ্রি হ্যান্ড এক্সারসাইজ করুন বা হাঁটতে যান। তাতেই শরীর ডিটক্স হবে। কেটে যাবে ক্লান্তি।
শান্তিতে ঘুমান
এই ক'দিন ভালো করে ঘুম হয়নি নিশ্চয়ই। তবে দিনে ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুম হল মাস্ট। এই সময়টা ঘুমালেই কিন্তু শরীর চাঙ্গা হয়ে যাবে।
বিদ্র: এই প্রতিবেদটি সচেতনতার উদ্দেশ্য নিয়ে লেখা হয়েছে। কোনও ওষুধ খাওয়ার আগে অবশ্যই নিজের চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে নিন।