ডিটক্স ওয়াটার শরীরের জন্য খুব ভাল। খুব বেশি ফাস্ট ফুড বা মিষ্টি খেলে, হজম প্রক্রিয়ায় ব্যাঘাত ঘটে। সেক্ষেত্রে শরীর থেকে টক্সিন দূর করতে ডিটক্স ওয়াটার পান করা উপকারী। দূষণ ধীরে ধীরে ফুসফুসের ক্ষতি করতে শুরু করে। ফলস্বরূপ ফুসফুসকে ডিটক্সিফাই করা খুবই জরুরি। উৎসবের মরসুমে খাওয়া-দাওয়া হয় অনেক বেশি পরিমাণে। জানুন পুজোর আগে বা সময়কালে, কী ধরনের ডিটক্স ওয়াটার খাতে পারেন আপনি।
ডিটক্স ওয়াটার হল এক ধরনের ইনফিউজড ওয়াটার, যেটাতে ফল, সবজি ও জল মিশিয়ে তৈরই হয়। এই ধরনের পানীয়কে হার্বাল ডিঙ্কস বা ডিটক্স ওয়াটার বলে। এই ধরনের ড্রিঙ্ক ওজন কমাতে সহায়ক। জলে বিভিন্ন ভেষজ যোগ করার পরে, এর পটাসিয়ামের ঘনত্ব বৃদ্ধি পায়, যা শরীর থেকে সোডিয়াম অপসারণ করতে সহায়তা করে।
এটা সকলের জানা যে, জল পান করলে মেটাবলিজম বাড়ে। ডিটক্স ওয়াটারে মেটাবলিজম ভাল হয়। এতে শরীরের এনার্জি লেভেল বাড়ে। যারা নিয়মিত পর্যাপ্ত জল পান করতে ভুলে যান, তারা অবশ্যই ডিটক্স জল পান করুন। ডিটক্স ওয়াটার শরীরে ক্যালোরির পরিমাণ সমান করে। যা, শুধু ওজন কমায় না, মেটাবলিজমও শক্তিশালী করে। শুধু শরীর হাইড্রেটেড থাকে না, হজম প্রক্রিয়াও ঠিক থাকে। জানুন কী ধরনের ডিটক্স ওয়াটার আপনি রোজ খেতে পারেন।
কিউকাম্বার ডিটক্স ওয়াটার
ডিটক্স ওয়াটারে ভিটামিন বি, পটাসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়ামের মতো পুষ্টি উপাদান রয়েছে যা, ওজন কমাতে সহায়ক। ডিটক্স ওয়াটার পান করলে, তা শরীর থেকে সমস্ত টক্সিন বের করে দেয় এবং হজমশক্তিও সুস্থ থাকে। এর পাশাপাশি শসা শরীরকে শক্তিতে ভরপুর রাখে। এর স্বাদ এবং গন্ধও ভাল।
অ্যাপেল জিঞ্জার ডিটক্স ওয়াটার
ডিটক্স ওয়াটার পানের অনেক উপকারিতা রয়েছে। এটি শরীরের বিভিন্ন সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়। এছাড়াও, এটি প্রতিদিন সর্বদা খেলে শরীর হাইড্রেটেড থাকে। ওজন কমানোর জন্য অনেক রকম কৌশল অবলম্বনের চেষ্টা করে প্রায় সকলেই। ডিটক্স ওয়াটার খেলে শরীর থেকে টক্সিন বের হয়। এছাড়া এটি আপনার হজম প্রক্রিয়াকেও উন্নত করবে।
লেমন কিউকাম্বার ডিটক্স ওয়াটার
অতিরিক্ত মিষ্টি খেলে শরীর খারাপ হতে পারে। অতিরিক্ত চিনি খেলে অ্যাসিডিটি, পেট খারাপ, গাঁটের ব্যথা বা ডায়াবেটিসের মতো সমস্যাও হতে পারে। বেশি মিষ্টি খেলে শরীর ডিটক্স করা দরকার হয়। লেবু- শসা দিয়ে তৈরি ডিটক্স ওয়াটারের সঠিক পদ্ধতিতে খেলে শরীর ভাল হয়। এর ফলে গ্যাস, কোষ্ঠকাঠিন্য, অ্যাসিডিটির মতো সমস্যা দূর হবে। এছাড়া এটি ত্বকের সমস্যা ও উচ্চ রক্তচাপ কমাতেও সহায়ক।