ডায়াবেটিস বর্তমান সময়ের দ্রুত বর্ধনশীল রোগগুলির মধ্যে একটি। ভারতে ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে, বিশেষ করে গত দশকে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, বয়স বৃদ্ধি এবং পারিবারিক ইতিহাসের কারণে এই রোগ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। কিন্তু ভুল খাদ্যাভ্যাস এবং জীবনযাপনের অভ্যাসও এই রোগ বৃদ্ধির কারণ হতে পারে। আপনি কী খাচ্ছেন এবং কোন ধরনের জীবনযাপন করছেন, তা আপনার স্বাস্থ্যের উপর সরাসরি প্রভাব ফেলে। অবাক করা বিষয় হল, প্রতিদিনের ছোট অভ্যাসও রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়াতে পারে।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, আমরা প্রতিদিন এমন অনেক কাজ করি যা, ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বহুগুণ বাড়িয়ে দেয়। যাদের ডায়াবেটিস আছে, তাদের দৈনন্দিন জীবনের প্রতিটি ছোট-খাটো বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। একটি পাতা ডায়েবেটিস নিয়ন্ত্রণে ম্যাজিকের মতো কাজ করে। খুবই সহজলোভ্য নয়নতারা পাতা নিয়মিত খেলে, উচ্চ রক্তচাপ, কৃমি রোগ, ত্বকের সমস্যা ও চর্ম রোগের সমস্যা দূর হয়। এছাড়া একেবারে ছু-মন্তর হয় ডায়েবেটিস।
শহুরে বাগান থেকে গ্রামবাংলা- মফস্বলের আনাচে কানাচে ফুটে থাকে ছোট্ট হালকা গোলাপি রঙা নয়নতারা ফুল। গোলাপি ছাড়াও সাদা, লাল বিভিন্ন রঙের হয় এই ফুল। সৌন্দর্য বৃদ্ধি ছাড়াও, অনেকেরই অজানা নয়নতারার অনেক উপকারিতা রয়েছে। এর ঔষধি গুণ জানলে অবাক হবেন। বিশেষত, যাদের উচ্চ মাত্রায় ডায়াবেটিস রয়েছে, তাদের এই পাতা খাওয়া ভাল।
আয়ুর্বেদে বহুকাল ধরেই ডায়াবেটিস রোগের চিকিৎসার কাজে নয়নতারা গাছ ব্যবহার হয়। আমেরিকান ন্যাশনাল সেন্টার ফর বায়োটেকনোলজি ইনফরমেশনের (এনসিবিআই) একটি জার্নালে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, নয়নতারার পাতা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম। ইঁদুরের উপর গবেষণা করেই এই সাফল্য প্রথমে পান গবেষকরা।
কীভাবে নয়নতারার পাতা খাবেন?
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে, প্রথমে নয়নতারা পাতা শুকিয়ে নিন। এরপর ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে এয়ারটাইট পাত্রে রাখুন। সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর, এক গ্লাস জল বা সবজির রসে এক চামচ নয়নতারার পাতার গুড়ো মিশিয়ে পান করুন। এভাবে নিয়ন্ত্রণে থাকবে ব্লাড সুগার। সপ্তাহে অন্তত ৩ দিন খেতে হবে এই পাতা।