রক্তে উচ্চ মাত্রায় শর্করাকে ডায়াবেটিস বলা হয়। ডায়াবেটিসের সমস্যার দিকে খেয়াল না রাখলে, তা খুবই বিপজ্জনক হতে পারে। রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে গেলে অনেক সমস্যা ও রোগের সম্মুখীন হতে হয়। ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা বজায় রাখা গুরুত্বপূর্ণ। একজন সাধারণ ব্যক্তি, কয়েক ঘণ্টা উপবাসের কলে রক্তে শর্করার মাত্রা ১০০-র কম হওয়া উচিত। ২ ঘণ্টা উপবাস রাখার পরে রক্তে শর্করার মাত্রা ১৪০-র কম হওয়া উচিত।
এমন কিছু সুপারফুড রয়েছে, যা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। এতে উপস্থিত উচ্চ পুষ্টিগুণের কারণে এই জিনিসগুলিকে সুপারফুড বলা হয়। আমরা যা খাই তা রক্তে শর্করার মাত্রাকে প্রভাবিত করে। জানুন কোন কোন জিনিস খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে সাহায্য করে।
দারুচিনি- ডায়াবেটিস রোগীদের বডি মাস ইনডেক্স কমাতে দারুচিনি ব্যবহার করা হয়। দারুচিনি বিভিন্ন পুষ্টিগুণে ভরপুর এবং এটি যে কোনও ধরনের জিনিস দিয়ে খেতে পারেন। দারুচিনি শরীরের লিপিডের মাত্রা কমাতে পারে এবং রক্তে শর্করার মাত্রাও কমাতে পারে।
ঢ্যাঁড়স- ঢ্যাঁড়স ফ্ল্যাভোনয়েডের ভাল উৎস। ফ্ল্যাভোনয়েড হল একটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা কার্ডিওভাসকুলার স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে পরিচিত। এই সবজিতে প্রচুর পরিমাণে পলিস্যাকারাইড নামক যৌগ থাকে। পলিস্যাকারাইড শরীরের রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে কাজ করে।
দই- আপনি যদি রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে চান, তাহলে প্রোবায়োটিক সমৃদ্ধ গাঁজনযুক্ত খাবার আপনাকে অনেক সাহায্য করতে পারে। দই বাজারে সহজেই পাওয়া যায়। যা, আপনাকে অনেক সমস্যা সমাধানে সাহায্য করতে পারে।
বীজ- কুমড়ার বীজ, চিয়া বীজ ইত্যাদিতে বিভিন্ন পুষ্টিগুণে ভরপুর। এগুলি ফাইবার এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ, যা উচ্চ রক্তে শর্করার রোগীদের জন্য সুপারফুডের চেয়ে কম নয়।
গোটা শস্য- মটরশুঁটির মতো গোটা শস্যেও দ্রবণীয় ফাইবার পাওয়া যায়। সম্পূর্ণ শস্য যেমন ওটস, কিনোয়া, গম ইত্যাদি ডায়েটে রাখলে, রক্তের শর্করার মাত্রা হ্রাস করেন। এগুলি রান্না করা খুব সহজ এবং আপনি প্রতিদিন খেতে পারেন।
বাদাম- বীজের মতো বাদামকেও পুষ্টির ভাল উৎস হিসেবে বিবেচনা করা হয়। প্রতিদিনের খাবারে বাদাম অন্তর্ভুক্ত করলে তা রক্তে শর্করার মাত্রা কমায়। এছাড়া প্রতিদিন বাদাম খেলে কার্ডিওভাসকুলার রোগের ঝুঁকিও কমে।
ডিম- ডিম সুপারফুড। ডিমে অনেক ধরনের পুষ্টি উপাদান পাওয়া যায়। এগুলিতে ডায়েটে অন্তর্ভুক্ত করাই ভাল বিকল্প। ডিম ইনসুলিন সংবেদনশীলতা কমাতে এবং উন্নত করতেও অনেক সাহায্য করে।